প্রতিবেদন : ওষুধ ছাড়া বর্তমান সময়ে জীবন কার্যত অচল হলেও অপ্রয়োজনে ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-জনিত কারণে কিছু ওষুধ সত্যিই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ধরনের ওষুধ এবার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-নিলামে মরুঝড়, টাকার অঙ্কে ইতিহাস কেকেআরের, স্টার্কের গতিতে হার কামিন্সের
কোন ওষুধ খাওয়ার যোগ্য আর কোনটা নয়, তা ঠিক করে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। তারাই এই সংক্রান্ত এক তালিকা তৈরি করেছে। সাধারণত দু’প্রকার ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয় ভারতে। সিঙ্গল ড্রাগ বা কোনও একটি ওষুধ নিষিদ্ধ হতে পারে। আবার অনেক সময় দুই বা তার বেশি ড্রাগ নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশিয়ে যে ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন তৈরি হয় তাও অনেক সময়ই নিরাপদ হয় না। প্রয়োজনে এধরনের ওষুধও নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে যে যে ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে, রিউম্যাটিজম, সর্দি, নিউরাইটিসের জন্য ব্যবহৃত অ্যামিডোপাইরিন, ফেনাসেটিন, নিয়ালামাইড, চোখের সমস্যার জন্য ক্লোরামফেনিকল, ফিনাইলপ্রোপানোলামাইন, ফুরাজোলিডোন, অক্সিফেনবুটাজোন, মেট্রোনাইডাজল ইত্যাদি। এছাড়াও নিমেসুলাইডের সঙ্গে প্যারাসিটামল ডিসপারসিবল ট্যাবলেট, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথার উপশমে ব্যবহার করা হত তাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই তালিকায় আছে শুকনো কাশির ওষুধ ফলকোডিন এবং প্রমেথাজাইন। ক্লোফেনাইরামাইন ম্যালিয়েট, ফিনাইলেফ্রাইন হাইড্রোক্লোরাইড, ক্যাফেইনের মিশ্রণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।