দশম শ্রেণিতে ড্রপআউট, শীর্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর রাজ্য

এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহারের নাম। অন্যদিকে, গত চার বছরে ড্রপআউটের নিরিখে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

Must read

প্রতিবেদন : ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে স্কুলছুট বা ড্রপআউটের হার ২০.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে খারাপ হাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের রাজ্য ওড়িশা। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহারের নাম। অন্যদিকে, গত চার বছরে ড্রপআউটের নিরিখে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।

আরও পড়ুন-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য একগুচ্ছ ওষুধ বাতিল

দেশে দশম শ্রেণিতে স্কুলছুট পড়ুয়ার হার কত? বিস্তারিত তথ্য চেয়ে সংসদে এই বিষয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন ডিএমকে সাংসদ কলানিধি বীরস্বামী। এর উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১,৮৯,৯০,৮০৯ জন ছাত্র ২০২২ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ২৯,৫৬,১৩৮ জন পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়। শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দশম শ্রেণিতে স্কুলছুট পড়ুয়ার হার ওড়িশায় ৪৯.৯ শতাংশ এবং বিহারে ৪২.১ শতাংশ। এছাড়া, স্কুলছুটের তালিকায় অন্যান্য রাজ্যগুলি হল মেঘালয় (৩৩.৫ শতাংশ), কর্নাটক (২৮.৫ শতাংশ), অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অসম (২৮.৩ শতাংশ), গুজরাট (২৮.২ শতাংশ) এবং তেলেঙ্গানা (২৭.৪ শতাংশ)। ১০ শতাংশের কম ড্রপআউটের হার আছে উত্তরপ্রদেশ (৯.২ শতাংশ), ত্রিপুরা (৩.৮ শতাংশ), তামিলনাড়ু (৯ শতাংশ), মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ (৯.৮ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (২.৫ শতাংশ) , হরিয়ানা (৭.৪ শতাংশ) এবং দিল্লি (১.৩ শতাংশ)। গত চারবছরে ওড়িশায় ১২.৮ থেকে ৪৯.৯ শতাংশে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ স্কুলছুটের হার কমাতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে বলে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে দশম শ্রেণিতে ড্রপআউটের হার ছিল ২২ শতাংশ। সেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ড্রপআউট হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন-নিলামে মরুঝড়, টাকার অঙ্কে ইতিহাস কেকেআরের, স্টার্কের গতিতে হার কামিন্সের

পাশাপাশি ডিএমকে সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, শিক্ষামন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী দশম শ্রেণিতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে, এই তথ্য সম্পর্কে সরকার সচেতন কি না। ধর্মেন্দ্র প্রধান জবাবে বলেন, পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতার কারণগুলি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, বিদ্যালয়ে নির্দেশনা অনুসরণে অসুবিধা, পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব, প্রশ্নপত্রের অসুবিধার মাত্রা, মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্কুলের কাছ থেকে সহায়তার অভাব। উপরন্তু, শিক্ষা সংবিধানের যৌথ (কেন্দ্র ও রাজ্য) তালিকায় রয়েছে এবং বেশিরভাগ স্কুল নিজ নিজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারের অধীনে রয়েছে।

Latest article