সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া: শীতের মরশুমে ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের জন্য অভিনব উদ্যোগ হাওড়া জেলা প্রশাসনের। জেলার গ্রামীণ এলাকায় রূপনারায়ণ, দামোদর বা হুগলি নদীর তীরে বেড়াতে আসা মানুষদের একটু নিরিবিলিতে রাত কাটানোর জন্য হোম-স্টে’র ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। হাওড়া জেলা পরিষদ ও পর্যটন দফতরের যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকায় তৈরি হয়েছে মোট ১৬টি হোম-স্টে। থাকা খাওয়ার সবরকমের সুবন্দোবস্ত থাকছে প্রতিটি হোম-স্টেতে। পর্যটকদের দেখাশোনা ও রান্নাবান্না করে খাবার সরবরাহের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। ভ্রমণপিপাসুদের মনের মতো করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি হোম-স্টেই।
আরও পড়ুন-ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ দিতে ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের নয়া উদ্যোগ, গ্রামবাংলায় বিনামূল্যে ফুটবল দেবে রাজ্য
দামোদরের তীরে শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের বেলাড়িতে ৭টি, গুজারপুর, ধান্দালি, গাদিয়াড়া, ও শ্যামপুর, বাগনান ১ নম্বর ব্লকের রূপনারায়ণের তীরে পানিত্রাস ও বিরামপুরে এবং বাগনান ২ নম্বর ব্লকের সন্তোষপুর ও বীরকুলে হোম-স্টেগুলি তৈরি করা হয়েছে। শীত পড়তেই সেগুলির বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে হাওড়া জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হোম-স্টেগুলি ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর সর্বভারতীয়স্তরে গ্রামীণ হোম-স্টেগুলি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবার হাওড়া জেলা পরিষদ এই প্রতিযোগিতায় নামছে।
আরও পড়ুন-কাজে গাফিলতি বরদাস্ত নয়, আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
হাওড়ার হোম-স্টেগুলি এবার পুরস্কার জিতবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও জানান, হোম-স্টেগুলিকে নিয়ে একটি সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসনের। প্রতিটি হোম-স্টে ঝাঁ চকচকে করে সাজানো হয়েছে। শীতের মরশুমের শুরুতেই বুকিংয়ের হার খুবই আশাব্যঞ্জক। আগামী দু’মাস প্রতিটি উইক-এন্ডেই প্রায় সবক’টি হোম-স্টে বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটকদের আগ্রহও তুঙ্গে। পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে আমরা প্রতিটি হোম-স্টে ঘুরে দেখলাম।