প্রতিবেদন : পুরনো সংসদ ভবনে প্রবেশ করে নস্টালজিক হয়ে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Parliament- Mamata Banerjee)। গেলেন সেন্ট্রাল হলে, সেই সময়ে সেখানে উপস্থিত কেরলের সংসদদের সঙ্গে কথা বললেন। বললেন, পুরনো সংসদ ভবনের একটি আলাদা ঐতিহ্য আছে, আমি অনেক বছর এখানে কাজ করেছি, আমার এই সংসদ ভবনই ভাল লাগে। দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদরা ভাল কাজ করছেন— এ কথা জানিয়ে এদিন দলের সাংসদদের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতায় নির্দেশ দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করে আগামী লোকসভা ভোটে দেশের সব আসনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ব্যবহার ইস্যুতে কমিশনের কাছে দাবি জানাতে হবে। শীতকালীন অধিবেশন শেষে দলীয় সাংসদদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে জনসংযোগের কাজে মন দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Parliament- Mamata Banerjee)। এদিন সংসদ ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁকেও তিনি বলেন ইন্ডিয়া জোটের উচিত ভিভিপ্যাট ব্যবহারের দাবি জানানো। দিগ্বিজয় মমতার কাছে অভিযোগ করেন, বারবার সময় চাওয়ার পরেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে সাক্ষাতের সময় দিচ্ছে না, ফলে তিনি ভিভিপ্যাট-সংক্রান্ত দাবি জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন প্রস্তাব দেন দিগ্বিজয় ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনায় বসা উচিত৷ এমনকী একই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনায় বসার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সাংসদদেরও। তাঁর প্রস্তাব নিয়ে দলে আলোচনা করবেন বলে মমতাকে জানান দিগ্বিজয়।
তাঁর এই বক্তব্যকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
রাজ্যসভার দুই নতুন সংসদ সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশচিক বাড়াইককে তিনি জিজ্ঞেস করেন, কেমন লাগছে, কী বুঝছো?
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-শেষে ফিরে আসার সময় তাঁর সাক্ষাৎ হয় দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এবং অর্জুনরাম মেঘবালের সঙ্গে। দুজনেই মমতাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন, হাত জোড় করে নমস্কারও করলেন। মমতাও সদলবলে হাঁটা থামিয়ে প্রতি নমস্কার করলেন। এরপরেই মোদি সরকারের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর কাছে মমতার প্রশ্ন, কেমন চলছে আপনাদের সংসদীয় অধিবেশন? তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বাউন্সারে প্রবল অস্বস্তিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষের ১৫০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পরে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী আর বলতে পারেন? দুজনেই স্মিত হেসে বললেন ঠিকঠাকই চলছে। এর পরেই প্রসঙ্গান্তরে চলে যান দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ মমতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে দেখিয়ে প্রহ্লাদ যোশী বলেন, দাদার থেকে আমরা কত কিছু শিখি৷ দাদা খুব অভিজ্ঞ লোক৷ তৃণমূল সুপ্রিমোও বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের দীর্ঘ সংসদীয় অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। দেখা এবং সৌজন্য বিনিময় হয় বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং-এর সঙ্গেও। দেখা এবং কুশল বিনিময় হয় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের সঙ্গেও।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের অবস্থা এখন কেমন খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী