প্রতিবেদন : বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভার পর এবার লোকসভাতেও (Lok Sabha) পাশ হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল। রাজ্যসভায় বিলটি নিয়ে বিরোধীরা কিছুটা আলোচনার সুযোগ পেলেও বৃহস্পতিবার বিরোধীশূন্য লোকসভায় বিলটি পাশ করানো হয়। এরপর বিতর্কিত বিলটিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অগ্রাহ্য করে সংখ্যার জোরে মোদি সরকার এমন একটি বিল পাশ করল যার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এবার আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুল বানানোর চেষ্টা হবে। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের ক্ষমতা খর্ব করার এই প্রবণতা মারাত্মক বলে অভিযোগ উঠেছে। লোকসভা (Lok Sabha) ভোটের আগে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিজেদের কুক্ষিগত করতেই সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ (appointments to Election Commission) বিলটি পাশ করিয়ে নিল মোদি সরকার। গত ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে জানিয়েছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অথবা দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের সংসদীয় নেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। যদিও এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ, মেয়াদ এবং কাজের শর্ত সংক্রান্ত এই বিল অনুযায়ী নিয়োগ কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আর থাকবেন না। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অর্থাৎ সরকারপক্ষ সব সময়েই সংখ্যায় এগিয়ে থাকবে। এই বিলটি সংসদের উভয়কক্ষে পাশ করিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করল মোদি সরকার। এভাবে কেন্দ্রের পছন্দ অনুযায়ী নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার বিরোধীশূন্য লোকসভায় অল্প কিছুক্ষণ আলোচনার পরেই বিলটি পাশ হয়ে যায় ধ্বনিভোটে। অন্যদিকে, লোকসভার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যসভাতেও পাশ করানো হয় টেলিকম বিল।
বিরোধীদের বাইরে রেখে সব আপত্তি উড়িয়ে লোকসভায় বিল পাশ
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ