প্রতিবেদন : যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হলেও সূত্র অধরা। এখনও পর্যন্ত অনমনীয় মনোভাব ইজরায়েল সরকারের। হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ইজরায়েলের আসল লক্ষ্য কী, সেই লক্ষ্যে ঠিক কোন ধাপে রয়েছে তারা, তা নিয়ে ফের কথা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তবে যুদ্ধ থামানো নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি দু’দেশের দুই শীর্ষনেতা।
আরও পড়ুন-পর্তুগিজ চার্চে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পাশে ডেরেক
ইজরায়েল ফের দাবি করেছে, হামাসকে নিঃশেষ করার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে ইজরায়েল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয় যুদ্ধে প্রতিটি মৃত ইজরায়েলি সেনার জন্য প্রতিশোধ নেবে তারা। ততদিন লড়াই চলবে যতদিন না হামাস পুরোপুরি শেষ হবে, যতদিন না সব পণবন্দি মুক্ত হবে। অন্যদিকে বাইডেনের দফতর থেকে দাবি করা হয়, অস্ত্র সংবরণ নিয়ে কোনও কথাই বলেনি ইজরায়েল। তবে আলোচনায় উঠেছে ত্রাণের বিষয়টি। যতদিন না পর্যন্ত অস্ত্রবিরতির মতো পরিবেশ তৈরি হবে ততদিন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য নিরাপদ, অবিচ্ছিন্ন পথ তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে জাত তুলে অপমান না করলে সেটি অপরাধ নয়, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে সায় দেয়নি আমেরিকা। তারপরই গাজা ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে ইরান। ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী এবং অন্যান্য জলপথে অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানিয়ান রেভলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার জেনারেল মহম্মদ রেজা নাকদি। এই জলপথে ইরানের কোনও এক্তিয়ার না থাকলেও কীভাবে তারা এই ধরনের হুমকি দিতে পারে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২০০ ইজরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে হামাসের হাতে, যার মধ্যে রবিবার মৃত্যু হয়েছে দেড়শোর বেশি, এমনটাই দাবি ইজরায়েলি স্বাস্থ্য দফতরের।