আমাদের অনেকেরই হাত ও পায়ের আঙুল ফাটানোর অভ্যেস রয়েছে। আঙুল ফাটালে আমাদের বুদ্ধি বাড়ে, এরকম কথা আমরা ছোট থেকে শুনে এসেছি তবে এসব আমাদের কল্পনামাত্র আর ফটাফট আঙুল বা অন্য হাড়ের জয়েন্ট (সংযোগস্থল) ফাটার পিছনে অন্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। সাধারণভাবে আমাদের হাতের আঙুল, কব্জি, কনুই, ঘাড়, কান, হাঁটু, পায়ের আঙুল ইত্যাদি ফাটালে শব্দ হয়। এর একাধিক কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রথমত, আমাদের হাড়ের সংযোগস্থলে ‘সাইনোভিয়ান’ নামক ফ্লইুড থাকে যা লুব্রিক্যান্ট-এর (পিচ্ছিলকারক পদার্থ) কাজ করে। ওই ফ্লুইডে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কাবর্ন-ডাই-অক্সাইডের মতো গ্যাস থাকে। যখন আমরা আঙুল ফাটানোর জন্য হাড়ের সংযোগস্থলে চাপ দিই তখন সেখান থেকে গ্যাস বুদবুদের মতো বেরিয়ে আসে ও শব্দ হয়। একবার আঙুল ফাটানোর পরমুহূর্তেই আবার তা ফাটানো যায় না যতক্ষণ না আবার হাড়ের সংযোগস্থলে কিছুটা গ্যাস জমা হয়। এছাড়া যখন আমরা নড়াচড়া করি তখন হাড়ের সংযোগস্থলের অবস্থানে কিছুটা হেরফের হয়। পরে তা আবার জায়গামতো ফিরে গেলে হাড় ফাটার শব্দ হয়। এই শব্দগুলি সাধারণত আমাদের হাঁট, কনুই, গোড়ালি ইত্যাদি জায়গায় হয়।
আরও পড়ুন-নিউক্লিয়ার পাওয়ারে কর্মী নিয়োগ
পেয়াঁজ কাটলে চোখে জল আসে কেন?
পেঁয়াজ কাটতে বসে অনেকেই কেঁদে ভাসান। তবে এই কান্নার কারণ দুঃখ বা অবসাদ নয়। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে একধরনের উত্তেজক রাসায়নিক যার বৈজ্ঞানিক নাম, ‘সিন-প্রোপ্যানেথিয়াল-এস-অক্সাইড’। এটি চোখের মধ্যে অবস্থিত ল্যাকরিমাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। ফলে চোখের জল বেরিয়ে আসে। পেঁয়াজ কাটার পর ল্যাকরিম্যাটরি রাসায়নিক বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই এনজাইম পেঁয়াজের অ্যামাইনো অ্যাসিডকে সালফেনিক অ্যাসিডে পরিণত করে এবং পরে তা সিন-প্রোপ্যানেথিয়াল-এস-অক্সাইডে পরিবর্তিত হয় ও বাতাসে মিশে চোখের ল্যাকরিমাল গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করলে চোখের জল বেরিয়ে আসে।