অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: শীত আসতে রায়গঞ্জ শহরে বিঘোরের বেগুনের দেখা মেলে। এবার এই বেগুনকেই সেরার তালিকায় আনার চেষ্টা চলছে। জেলার উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সুমন কর বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই বেগুনকে তুলাইপাঞ্জীর মতই স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই কাজে সময় লাগবে। আপাতত কৃষকদের সংগঠিত করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-শুরু হল বাংলা সঙ্গীতমেলা
কৃষি মেলা গুলোতেও বিঘোরের বেগুন নিয়ে কাজ চলছে। যেহেতু জেলায় বহুমুখী হীমঘর নেই সেক্ষেত্রে এই মুহুর্তে কাজ শুরু হয়নি। তাই বলাই যায় খুব শীঘ্রই বিঘোরের বেগুনের নাম ছড়িয়ে পরবে সর্বত্র। শীতকালে জয়নগরের মোয়া আর রায়গঞ্জের বিঘোরের বেগুন একবার না চাখলে, জীবন বৃথা! কিন্তু যারা ভাবছেন এ তো শুধু বেগুন, এতে আর কি এমন! তাহলে কিন্তু আপনাকে আসতে হবে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। শীতের শুরু থেকেই জেলার বাজার জুড়ে দেখতে পাবেন এই অতিকায় বেগুন। এক এক টি ওজনই এক কেজি পর্যন্ত বা তার থেকেও বেশি হয়। জেলার সীমানা ছাড়িয়ে বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলার বিঘোর এলাকা। প্রতি বছর শুধু মাত্র এই এলাকাতেই ফলন হয় এই বেগুনের।
আরও পড়ুন-আচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অপসারিত উপাচার্যের
উত্তর দিনাজপুরের কৃষি অধিকর্তা সফিক উল আলম জানান, “মাটি ও আবহাওয়ার কারণে এই বিশেষ ধরনের বেগুনের ফলন শুধুমাত্র এখানে হয়। যদিও বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার সহ কিছু এলাকায় এই বেগুনের চাষ হচ্ছে। চাষীরা নিজেদের আগ্রহেই বেগুন চাষ করছে।” যদিও বাজার গুলিতে বিঘোরের বেগুনের চাহিদাই সবচাইতে বেশি। শীতের শুরুতে এই বেগুন ১২০ টাকা কেজি দরে বাজারে পাওয়া গিয়েছে। এখন বাজার দর ৭০- ১০০ টাকা কেজি প্রতি। মালদা ও দুই দিনাজপুর-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই এই বেগুনের চাহিদা ব্যাপক।