দারুন সাড়া মিলেছে কর্মসাথী প্রকল্পে। চালু হওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কর্মসাথী প্রকল্পে (Karmasathi) ২০ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যভান্ডার তৈরি করে তাঁদের নিজের এলাকায় কাজের সন্ধান দিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে কর্মসাথী প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করণের কাজ শুরু হয়। ওই সময় সপ্তম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ১৪ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অষ্টম দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেও নাম নথিভুক্তির কাজ চলেছে। দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হওয়ার আগে পয়লা ডিসেম্বর থেকে কর্মসাথী প্রকল্পের আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তি করণের কাজে গতি আনতে রাজ্য সরকার বিশেষ অভিযানে নামে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েতস্তরের কর্মীদের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও যুক্ত করা হয়। প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে গোটা প্রক্রিয়ার ওপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন জেলায় কত নাম তোলা হচ্ছে, তার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে হবে। এই উদ্যোগের ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আরও ৬ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে দিল্লি, বিঘ্নিত বিমান পরিষেবা
এখনও পর্যন্ত ‘কর্মসাথী’ (Karmasathi) পোর্টালে ২১ লক্ষ ৬৬ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নভেম্বরে প্রায় ১০ লক্ষ নাম তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়কালে ৮ লক্ষ মতো নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বাকি প্রায় ৬ লক্ষের শ্রমিকের নামরাজ্যের আধিকারিকদের অভিমত, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৮০ শতাংশের মতো পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য রাজ্যের কাছে আছে। উত্তরাখণ্ডে বাংলার যে ও শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের কোনও তথ্যই সেই সময় রাজ্যের কাছে ছিল না। কেননা এই ৩ শ্রমিক বা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেননি। আর তাই এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে তৎপর রাজ্য সরকার। পোর্টালে তুলতেই ডিসেম্বরজুড়ে এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।