মৌসুমী বসাক: মহিলা পরীক্ষার্থী ও তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের জন্য ফের সহৃদয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারীশিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং শিক্ষায় অগ্রগতির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা যেন কোনওভাবেই বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই কারণে চলতি বছরে সংরক্ষিত, অসংরক্ষিত মহিলা পরীক্ষার্থী এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি কমাল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। আগামী বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করল বোর্ড। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল হবে পরীক্ষা। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গণিত এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষা নেওয়া হবে। অঙ্ক ১০০ নম্বরের এবং বাকি ১০০ নম্বর পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন মিলিয়ে হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
২০২৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু হবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এই বছর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত শ্রেণির মহিলা পরীক্ষার্থী এবং তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের টাকা কমানো হয়েছে (West Bengal Government)। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ট্যুইট করে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানান। তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা, ২০২৪-র অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু হবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাসন্তানদের পড়াশোনাকে উৎসাহ দেওয়ার আদর্শকে সামনে রেখে এই বছর অসংরক্ষিত, সংরক্ষিত শ্রেণির মহিলা পরীক্ষার্থী এবং ট্রান্সজেন্ডার পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সকলের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল!
ওএমআর শিটে হবে পরীক্ষা। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য সর্বাধিক ২ নম্বর পাবেন। ভুল উত্তর দিলে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে। কিন্তু কোনও উত্তর না দিলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত নম্বর কাটা হবে না। শুধুমাত্র কালো বা নীল রঙের বল পেন ব্যবহার করা যাবে। তবে সেই পেন দেবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। অন্য কোনও পেন বা পেন্সিল দিয়ে লিখলে সেই উত্তরপত্র বাতিল করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে। পরীক্ষার মূল্যায়নের শেষে কোনও মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে না। অনলাইন থেকে পরীক্ষার্থীরা মেধাতালিকা ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- কেন মোদি সরকারকে বিদায় করা দরকার?