প্রতিবেদন : বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের আমেজে ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুধু কনকদুর্গা মন্দিরেই ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছেন বলে খবর। সত্যিই রেকর্ড। শনিবারও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল মন্দিরে। পর্যটকদের কথা ভেবে এলাকাবাসী ডুলুং নদীর ধারে অস্থায়ী দোকান তৈরি করেছেন। ফলে পর্যটনের এই ভরা মরশুমে আয় বাড়ছে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের।
আরও পড়ুন-তুষারপাত উত্তরে বৃষ্টির সম্ভাবনা এবার দক্ষিণে
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, কনকদুর্গা মন্দির দেখতে প্রচুর পর্যটক আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্দির প্রাঙ্গণ ঢেলে সেজেছে। আগামীতে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি নিয়ে নানা পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। মন্দিরে আসা পর্যটকদের কথায়, ভালই সাজানো হয়েছে মন্দির। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্দিরের খবর অনেকেই জেনে দেখতে আসছেন। চিল্কিগড়ের ডুলুং নদীর ধারে প্রায় ৬০ একর জঙ্গল এলাকার মধ্যে শতাব্দীপ্রাচীন কনকদুর্গা মন্দিরের অবস্থান। বাম আমলে মন্দিরটির পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়ে। ২০০৭-এর পর মাওবাদী আন্দোলনের জেরে মন্দিরে পর্যটকদের দেখাই মিলত না। সরকার বদলের পর পরিস্থিতি বদলায়। বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। তিনি মন্দির পরিদর্শন করে দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করেন সংস্কারের জন্য। প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখেই পরিকাঠামোগত বদল ঘটে মন্দিরের। মন্দিরে প্রবেশপথের আগে তৈরি হয় বিশাল গেট। জঙ্গল ঘেঁষে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি হয় বসার জায়গা। তৈরি হয়েছে গেস্ট হাউস।
আরও পড়ুন-বছরের শেষ দিনে মহারাষ্ট্রে কারখানায় আ.গুন, মৃ.ত ৬ শ্রমিক
মন্দিরের চারপাশ বাঁধানোও হয়। মন্দির চত্বরে গড়ে তোলা হয় শিশুউদ্যান। পাশেই বিশাল জায়গা জুড়ে পার্কিং ও শৌচাগারের ব্যবস্থা হয়। পাশের প্রাচীন বিষ্ণুমন্দিরটিরও সংস্কার হয়েছে। মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন, এবার শুধু বড়দিনেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ এসেছিলেন। তার আগের দুদিনেও ২০ হাজার মানুষ আসেন মন্দির দর্শনে। মন্দির সংলগ্ন ডুলুং নদীর ধারে দোকান দেওয়া এক বিক্রেতা জানান, ভাল বিক্রি হচ্ছে। মন্দির দেখা ছাড়াও বহু মানুষ পিকনিক করতেও আসছেন। ফলে ব্যবসা বাড়ছে। এলাকায় অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটছে। এলাকার ছোট ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাঁর উদ্যোগেই দীর্ঘদিন পর কনকদুর্গা মন্দিরের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হতে পেরেছে।