প্রতিবেদন : নতুন বছরের প্রথম দিনে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুখেন্দুশেখর রায়। সংসদে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির কর্মকাণ্ডকে তীব্রভাষায় সমালোচনা করে ৯০ বছর আগেকার নাৎসি বাহিনীর (Nazi Force) সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর। অন্যদিকে, ইংরেজি বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তোপ দাগলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক।
সংসদ হামলার ঘটনার পর থেকে নজিরবিহীনভাবে বিরোধীদের ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবার। সংসদে হামলার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় গণ-সাসপেনশনের মুখে পড়েছেন তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী সাংসদ। সংসদে বিতর্কের বদলে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় বিরোধীদের দমন করেছে মোদি সরকার। কার্যত বিরোধীশূন্য সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। এই ঘটনাকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর (Nazi Force) সঙ্গে তুলনা করে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, প্রায় ৯০ বছর আগে নাৎসি জার্মানিতে সংসদকে অচল ও নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে যেভাবে বিল পাশ করানো হয়েছিল সেই ছবি আজ দেখা গিয়েছে ভারতের সংসদে। ১৪৬ জন সাংসদকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড করে সংসদের দুই কক্ষে পাশ করানো হয়েছে একের পর এক বিল। এই বিলগুলির অধিকাংশই বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র, যা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে।
সুখেন্দুর পাশাপাশি মোদি জমানার একের পর জনবিরোধী নীতি ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেকও। ইংরেজি বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর তুলে ধরে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে নতুন বছরে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ পর্যন্ত প্রতিটি বর্ণমালার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের ঘটনাবলি। যেমন, মোদি সরকারের কাজকর্মের তীব্র সমালোচনা করে ‘ডি’ অর্থে ডেরেক লেখেন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। ‘এফ’ অর্থে লেখেন, ‘ফ্যাসিজম’। ‘জে’ অর্থে ‘জুমলা’। এভাবেই ইংরেজি বর্ণমালা ধরে নতুন বছরে মোদি সরকারকে আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন- ভাঙছে বিরোধী শিবির, তৃণমূলে যোগদান