প্রতিবেদন : ২০২৪-কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যবাসী-সহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিনই আগামীর পথ চলাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি হঠাওয়ের ডাক দিলেন নেতৃত্ব
সময়ের দাবি মেনে ১৯৯৮ সালের এই দিনটিতেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন বছরেই লোকসভা নির্বাচন। লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদেও পরিবর্তন আনা। তাই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই এদিন রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ উঠছে, নয়া বছরে বদল চাই, বিজেপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়। আর এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সকাল-সকাল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন মমতা লেখেন, মা-মাটি-মানুষের সেবায় ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের পথচলা শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার আজ অগণিত মানুষের আশীর্বাদ ভালবাসা-দোয়ায় পরিপূর্ণ। আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থনকে পাথেয় করেই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব আমরা। কোনওরকম অপশক্তির কাছে মাথা নত নয়, সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সংগ্রাম আজীবন চলবে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-আইনশৃঙ্খলায় জোর, বৈঠকে গোপালিকা-নন্দিনী-ডিএমরা
তিনি লিখেছেন, প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। রাজ্য তথা দেশবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে মা-মাটি-মানুষ সর্বদা নিয়োজিত। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সকল কর্মীর আত্মত্যাগ এবং নিরলস প্রচেষ্টাকে আমার কুরনিশ। তাঁরাই আমাদের দলের মেরুদণ্ড। নতুন বছরে নব-উদ্যমে আগামীর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন। সকল ক্লেদ, বিষাদ, গ্লানি মুছে যাক সুখের পরশে। প্রতি বছরই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে তৃণমূল, এদিনও রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে, প্রতিটি শহরে, প্রতিটি গ্রামে একাধিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। এদিন থেকে গোটা জানুয়ারি মাসব্যাপী ঠাসা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে সুভাষ উৎসব পালন করবে জোড়াফুল শিবির।