প্রতিবেদন : অভিমন্যু ঈশ্বরণ নেই। তিনি আপাতত ভারতীয় দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। রঞ্জির প্রথম ম্যাচে তাঁকে না পাওয়া বঙ্গ শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা।
কিন্তু বড় প্রাপ্তিও আছে মনোজ তিওয়ারিকে নিয়ে। কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, আমি পঁচিশ বছর ধরে মনোজকে দেখছি। এবার প্রথম থেকেই ও ছন্দে আছে। ক্লাব ক্রিকেটে একটা ম্যাচও খেলেছে। গতবছর ও অসাধারণ খেলেছে। কিন্তু এবার মনোজকে আরও ফিট লাগছে। ও রান করবেই।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের ২৭ বছর
মঙ্গলবার দুপুরে বিশাখাপত্তনম উড়ে যাচ্ছে বাংলা দল। সেখানে বাংলা ও অন্ধ্রপ্রদেশের রঞ্জি ম্যাচ শুরু ৫ জানুয়ারি থেকে। ছবির মতো সুন্দর ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে সেটা এখান থেকে আন্দাজ করা মুশকিল তবে বঙ্গ শিবির ধরে নিয়েছে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হবে। সেখানে পরেরদিকে বল ঘুরতে পারে। ফলে দুই স্পিনারের ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনম পৌঁছে এদিন আর কোনও প্র্যাকটিসের পরিকল্পনা নেই বাংলার। তবে বুধবার সকালে লম্বা ট্রেনিং শিডিউল রয়েছে। অভিমন্যু না থাকায় দুই নতুন মুখকে দিয়ে ইনিংস শুরু করাতে হবে লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের। কিন্তু বিকল্প রাস্তাও নেই। মনোজের নেতৃত্বে ১৮ জনের বাংলা দলে এবার বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তারুণ্যের আধিক্য। সৌরাশিস বলছিলেন, অভিমন্যু এখন বাংলার ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। ওর না থাকা সত্যিই আমাদের জন্য ধাক্কা। কিন্তু অভিমন্যু দেশের হয়ে খেলছে। সেটা সবার আগে।
আরও পড়ুন-বাংলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন, শুভেচ্ছা জানালেন নেত্রী ও অভিষেক
ব্যাটারদের মধ্যে মনোজ ছাড়াও সিনিয়রদের মধ্যে রয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সুদীপ ঘরামিও রানের মধ্যে রয়েছেন। জোরে বোলারদের মধ্যে আকাশ দীপ ও ইশান পোড়েল অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তাঁরা জানেন অন্ধ্র ম্যাচে কিভাবে বল করতে হবে। এছাড়া লেগ স্পিনার প্রয়াস রায় বর্মন পুরনো মুখ। প্রদীপ্ত প্রামানিকের সঙ্গে তাঁর স্পিন জুটি স্থানীয় দলকে চাপে ফেলতে পারে।