প্রতিবেদন : অটোগ্রাফ চাওয়ার নামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী নেতাকে ছুরির কোপ। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা লি জায়ে মায়েউংকে ছুরির কোপ মারেন এক প্রৌঢ়। ঘটনাস্থলেই আততায়ীকে ধরে ফেলে পুলিশ। তবে কী উদ্দেশ্যে তিনি এই হামলা চালান তা এখনও স্পষ্ট নয়। ৫৯ বছরের লি-কে দ্রুত সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরও তাঁর অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন-ট্রাকের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সং.ঘর্ষ, মৃ.ত ১৪
মঙ্গলবার বুসান শহরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন লি। সেই সময় সমর্থকদের মধ্যে থেকে বছর ষাটের এক প্রৌঢ় অটোগ্রাফ চাওয়ার জন্য এগিয়ে যান। অটোগ্রাফ নেওয়ার অছিলায় সেই সময়েই লি-এর বাঁদিকের ঘাড়ে ছুরি বসিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন লি। সেখান থেকে তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারদের অনুমান, মস্তিষ্ক থেকে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সংবহনকারী জুগুলার শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে লি-এর। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা নতুন নয়। লি-এর ডেমোক্রেটিক পার্টির পূর্ববর্তী নেতাকেও একইভাবে এক জনসভায় মাথায় আঘাত করা হয়েছিল ২০২২ সালে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কনসার্ভেটিভ পার্টির পার্ক গিউং হাইকের মুখে ছুরির আঘাত করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। তবে লি-এর ওপর আক্রমণের নেপথ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের বিষয়গুলি থাকতে পারে বলে অনুমান সেদেশের রাজনৈতিক মহলের। ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লি মাত্র ০.৭৩ শতাংশ ভোটে পরাজিত হন। এত কম ব্যবধানে পরাজয় দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম। আগামী নির্বাচনেও তাঁর দাঁড়ানোর কথা। তবে তার আগেই সিওংনাম শহরে বেআইনি জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হামলার পর বিরোধী নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল। ঘটনার নিন্দা করে লি-এর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন।