দোহা, ২ জানুয়ারি : এশিয়ান কাপের আগে বিশ্ব ফুটবলের ‘মিরাকল ওয়ার্কার’ প্রাক্তন সার্বিয়ান কোচ বোরা মিলুটিনোভিচের ক্লাসে ভারতীয় দলের ফুটবলাররা। নতুন বছরের প্রথম দিন দোহায় ভারতীয় দলের অনুশীলনে হাজির হয়েছিলেন কিংবদন্তি কোচ। মিলুটিনোভিচ হয়তো তাঁর অতীত গৌরব পিছনে ফেলে এসেছেন। কিন্তু তাঁর মতো টানা পাঁচটি বিশ্বকাপে পাঁচটি ভিন্ন দলকে কোচিং করানোর নজির বিশ্ব ফুটবলে কারও নেই। এমন এক ফুটবল ব্যক্তিত্বের ক্লাসে থেকে মেগা টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের সমৃদ্ধ করলেন সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। একইসঙ্গে উদ্বুদ্ধও হলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দলনেতাকে ছুরির কো.প
তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায় জন্ম মিলুটিনোভিচ মেক্সিকো (১৯৮৬), কোস্টারিকা (১৯৯০), আমেরিকা (১৯৯৪), নাইজেরিয়া (১৯৯৮) এবং চিনকে (২০০২) বিশ্বকাপে কোচিং করিয়েছেন। ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচের উদ্যোগেই ৭৯ বছর বয়সী কোচ দোহায় গুরপ্রীতদের ট্রেনিংয়ে হাজির হয়েছিলেন। মিলুটিনোভিচের পরিচিতি রয়েছে ভারতের ফিটনেস কোচ লুকা রডম্যান এবং গোলকিপিং কোচ ফ্রানো সরদারেভের সঙ্গেও। ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি কোচিং স্টাফেদের সঙ্গেও বেশ কিছু সময় কাটিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন বিশ্বখ্যাত কোচ।
আরও পড়ুন-আজ সুপারের প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের
মিলুটিনোভিচের ক্লাসে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ভারতীয় দলের গোলকিপার গুরপ্রীত বলেছেন, ‘‘ওঁর মতো এত বড় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে এবং ওঁর কথা শুনে আমরা সম্মানিত। প্রথম যে কথাটা তিনি আমাদের বললেন সেটা হল ফুটবলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উনি আমাদের কাছে জানতে চান, ফুটবলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কী? কিছুক্ষণ পর তিনি নিজেই তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিলেন। বললেন, ‘পরের পদক্ষেপটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ’। তিনি আমাদের বললেন, ‘তোমরা যদি গোল করো, তাহলে তোমাদের পরের কাজটা হল সেটা ধরে রাখা। আবার যদি তোমরা গোল হজম করো, তাহলে তোমাদের পরের কাজ আক্রমণে যাওয়া। ওঁর এই কথাগুলো আমাদের কাছে শিক্ষণীয় ছিল।’’
আরও পড়ুন-নতুন বছরে শহরজুড়ে শীতের আমেজ
ভারতীয় দলের সিনিয়র ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান বলছিলেন, ‘‘এত বড় একজন মানুষ হয়েও কত সরল ও মানবিক স্যার মিলুটিনোভিচ। ওঁর কিছু কথা আমার উপর দারুণ প্রভাব ফেলেছে। আমাদের বলছিলেন স্বপ্ন দেখা এবং তাকে তাড়া করার প্রয়োজনীয়তার কথা। দারুণ অনুপ্রেরণামূলক সেশন ছিল।’’ এদিকে, দোহার শিবিরে দু’দিন অনুশীলন করেননি সাহাল আব্দুল সামাদ। তাঁর চোট নিয়ে যথারীতি ধোঁয়াশা।