প্রতিবেদন : নিতুড়িয়ার রায়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথমবার এককভাবে ক্ষমতা পেয়ে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু করেছে তৃণমূল। এখানকার দুটি পঞ্চায়েত এলাকার ৭টি গ্রামের মানুষের অন্যতম ভরসা রায়বাঁধের গ্রামীণ হাটকে ঢেলে সাজাতে পঞ্চায়েত প্রায় ২২ লক্ষ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল পঞ্চম অর্থ কমিশনের টাকায় নতুন চেহারা দেওয়া হবে এই হাটটিকে। নিতুড়িয়ার পশ্চিমে সীমান্তবর্তী রায়বাঁধ ও গুনিয়াড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা শাকসবজি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য প্রধানত ভরসা করেন রায়বাঁধ গ্রামীণ হাটের উপর।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে খরচের রেকর্ড গড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর
রায়বাঁধের অদূরে রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরাও তাঁদের পরিবারের প্রয়োজনীয় আনাজের জন্য এই হাটের উপরেই নির্ভরশীল। বর্তমানে সেখানে রয়েছে ২০টি স্টল। আছে হাইমাস্ট আলো। বর্তমানে সোম, বুধ ও শনি এই তিনদিন হাট বসে। এলাকার যুব সমাজ হাটে আরও বেশি জিনিসপত্র বিক্রি করে যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন সেজন্য পঞ্চায়েত বেশ কিছু নতুন কাজও করছে এখানে। আড়াই লক্ষ টাকায় নতুন করে একটি স্টল বিল্ডিং গড়ে তোলা হয়েছে। বাকি ১৯ লক্ষ টাকায় তৈরি হবে আকও দুটি স্টল বিল্ডিং। পাশাপাশি পুরনো বিল্ডিংগুলির সংস্কারও হবে। কমিউনিটি হলের সংস্কার হবে। লাগানো হবে সোলার হাইমাস্ট আলো। এলাকার ব্যবসায়ীদের মতে, হাটের উন্নয়নে পঞ্চায়েতের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। এর ফলে এলাকার মানুষ ও হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদের উপকার হবে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ রুহুল আমিন আনসারি বলেন, একাধিক উন্নয়ন-কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দুটি পঞ্চায়েত এলাকার মূল ভরসা রায়বাঁধ হাটটিকে নতুন করে সাজানোর চেষ্টা চলছে। এতে পঞ্চায়েতেরও আয় বাড়বে।