ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। হৃদরোগের (Cardiac arrest) চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল সরকার। রাজ্য সরকার এবার টেলি মেডিসিন (Tele Medicine) পরিষেবার চালু করল। যদিও আগেই স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছিল। এবার হৃদরোগে সম্পূর্ণ চিকিৎসার পরামর্শ টেলি মেডিসিন পরিষেরার মধ্য দিয়ে পাওয়া যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরণের রোগীদের নিয়ে আসা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষ এবার থেকে বহু দূর থেকেও তাঁর স্থানীয় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পাবেন।
আরও পড়ুন-নেতাই গণ.হত্যার ১৩ বছর পূর্তি, শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
টেলি-কার্ডিওলজি পরিষেবা এই মুহূর্তে রাজ্যের ৮টি মেডিকেল কলেজের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে। সাধারণ মানুষ এবার থেকে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো পরিস্থিতে কিংবা হার্ট ফেলিয়োরের মতো চিকিৎসা ক্রনিক হাসপাতালেই পেয়ে যাবেন। এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল, আরজি কর, এনআরএস, ন্যাশনাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ টেলি কার্ডিওলজি পরিষেবা চালু হবে। এর ফলে কলকাতার ভিড় অনেকটাই কমবে এবং হাসপাতালগুলির রেফার সমস্যা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের আটটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যারা এই টেলিপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন স্বাস্থ্য দফতরকে তাঁদের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে । শুধু তাই নয়, তালিকায় চিকিৎসার প্রটোকল এবং ডিউটি রস্টার উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন-পুলিশকর্মীকে থা.প্পড় মেরে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক
পরিষেবা পাওয়াও খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটি হাসপাতালের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবে। ভিডিয়ো কন্ফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে আলোচনা করতে হবে। আলোচনা করে কোন রোগীর কি ধরনের চিকিৎসা করা যাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সময়ও অনেকটা বাঁচবে এবং উৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসাও হবে। খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা শুরু হবে বলেই জানা গিয়েছে।