বিপুল সংখ্যক শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে ৭ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা (State Cabinet)। রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির এই সব শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে দুটি স্তরে মোট ৭ হাজার ২১৬ জনকে নিয়োগ করা হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে নবান্ন।
রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, এদিন ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের খালিপদে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে শূন্যপদের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৫২টি এবং ৫৬৪টি শূন্যপদ রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিতে। রাজ্য মন্ত্রিসভার (State Cabinet) গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দমকল বিভাগের ফায়ার অপারেটর পদে ১ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। এদিন পঞ্চায়েতে নতুন নিয়োগের প্রস্তাবে সায় দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, এরই পাশাপাশি রাজ্য পুলিশে খুব শীঘ্রই ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। তার বিজ্ঞপ্তিও যে কোনওদিন প্রকাশ হতে পারে। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে মানস ভুঁইয়ার পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং অরূপ বিশ্বাস। শশী পাঁজা জানান, মেটিয়াবুরুজে একটা বড় টেক্সটাইল হাব তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও হাওড়ার জগদীশপুরে (এমএসএমই আওতাধীন) ৩.৬ একর জায়গা জুড়ে নতুন হোসিয়ারি পার্ক গঠন করা হচ্ছে। এখানে নতুন ১৫টি শিল্প সংস্থা আসবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর একটি সিমেন্ট কারখানা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সাধারণতন্ত্র দিবসে বাদ বাংলা-সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির একাধিক ট্যাবলো, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
বস্তির নামককরণ আগেই উত্তরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে এ বিষয়ে আরও একপ্রস্থ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, আর বস্তি বলা যাবে না। উদ্বাস্তু কলোনিও বলা যাবে না। এখন থেকে নাম হল স্থায়ী ঠিকানা। অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই উত্তরণ বা স্থায়ী ঠিকানায় যাঁরা রয়েছেন ইতিমধ্যে তাঁদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ মানুষ পাট্টা পেয়েছেন। বাকি ১ শতাংশ মানুষের পারিবারিক কিছু সমস্যা থাকায় এখনও সেটা করা সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি সেই সমস্যা মেটানোর।