স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Self-help groups- Bengal) তৈরিতে ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেই মিলেছে এই স্বীকৃতি। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে এরাজ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রের ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৪টিহয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পড়শি রাজ্য বিহার। সেখানে চলতি আর্থিক বছরে মোট ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার ২১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ৭ লক্ষ ৩১ হাজার, মধ্যপ্রদেশে ৪ লাখ ৪৭ হাজার, গুজরাতে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার, ছত্তিশগড়ে ২ লক্ষ ৬২ হাজার এবং রাজস্থানে দু’ লক্ষ ৬০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিসি সূত্রে খবর, ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের অধীনে বার্ষিক মাত্র দু’ শতাংশ হারে ঋণ প্রদান করা হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। একটি গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার ছ’ মাস পর পদ্ধতি মেনে তারা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন অ্যাকাউন্টে শুরুতেই দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। পরে ঋণের পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়ে।এদিকে, ঋণ পেয়ে ক্রমেই আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে রাজ্যের মহিলাদের। ঋণ নেওয়ার পর সেই টাকা ব্যক্তিগতভাবে ভাগ করে কেউ পশুপালন করছেন, কেউ কাপড়ের ব্যবসা করছেন। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। স্বনির্ভর হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, মহিলারা আর পুরুষের পদানত নন। তাঁরা আজ স্বনির্ভর। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে চুরমার করে যেভাবে মাতৃজাতিকে প্রতিষ্ঠা করছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, তা আগে আর কেউ করেননি। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য সবার থেকে আলাদা।
আরও পড়ুন- ৮ বছর আগে ২৯ জনকে নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল বায়ুসেনার বিমান, অবশেষে উদ্ধার ধ্বংসাবশেষ
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, মহিলাদের স্বনির্ভরতার বিষয়টিকে বরাবর অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই বাংলা আজ মডেল রাজ্যে পরিণত হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Self-help groups- Bengal) তৈরিতে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান পেয়েছে আমাদের রাজ্য। এটা আমাদের কাছে গর্বের।