জামানত বাঁচাতে দিনহাটায় পেতে হত ৩৭,৫৪৭ ভোট সেখানে বিজেপি পেয়েছে ২৫,৪৮৬।
গোসাবায় পেতে হত ৩০,৮৬৮… বিজেপি পেয়েছে ১৮,৪২৩। খড়দহতে পেতে হত ২৫,৮৩৭, বিজেপি পেয়েছে ২০,২৫৪। চারটের মধ্যে তিনটে কেন্দ্রেই জামানত জব্দ। এই বিপুল জয়ের পিছনে কারণ কী? বিশ্লেষণে রাজ্যের মুখপাত্র ও পুর কো অর্ডিনেটর অরূপ চক্রবর্তী
আরও পড়ুন-উপনির্বাচনে গো-হারা হারল বিজেপি, “ভারতীয় জনবিরোধী পার্টি” বলে কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয়
২১৩ টা আসনের বিপুলসংখ্যক জয় নিয়ে ২রা মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো মা মাটি মানুষের সরকার গঠনের পরে উপনির্বাচনগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে বা আসনসংখ্যা নিয়ে সম্ভবত বিরোধী দলগুলোর মধ্যেও কোনো সংশয় ছিল না । এর আগের দফায় আমরা দেখেছি ৩-০ হতে, আবার এই দফায় ৪-০ হওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু যে তথ্যগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবারের ফলাফলে সেটা হল এই উপনির্বাচনের ভোটের মার্জিনে মানুষ কিভাবে টার্ণআউট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বা বিজেপির বিপক্ষে সেটা দেখার জন্য রাজনৈতিক মহলে সকলেরই একটা উৎসাহ ছিল। এর মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যদি বলেন তাহলে অনেকে বলবেন দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধান সভা কেন্দ্রে কথা। তবে আমি বলব দিনহাটার ঘটনাটা একটু আলাদা, কারণ আমরা প্রায় প্রত্যেকেই দেখেছিলাম যখন দিনহাটায় নির্বাচন হয়েছিল সেদিন নির্বাচনের দিন বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং যে দুষ্কৃতীরা উদয়ন গুহর আক্রমণ করেছিল তারা ছিল সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দলের (CRPF) প্রশ্রয়ে । গোটা দিনহাটা বিধানসভার এক-তৃতীয়াংশ বুথ কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল (CRPF) দ্বারা লুট হয়েছিল একতরফা। তার পরেও মাত্র ৫৭ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে পরাজয় বরন করতে হয়েছিল। কিন্তু উনিশে হাফ একুশে সাফ শ্লোগান দেওয়া ভারতীয় জনতা পার্টির এখানকার সাংসদ এসেছিলেন কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভায় লড়তে, তাদের চোখে স্বপ্ন ছিল হয়তো বিজেপি বাংলার সরকার করবে। বাংলার মানুষের এই প্রবল প্রত্যাখ্যানের পর হাওয়া বুঝতে পেরে পাততাড়ি গোতাটে দেরি করেনি । দিনহাটার প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক পদত্যাগ করেন এবং দিনহাটার মানুষকে এই অকাল নির্বাচনের মুখে যেদিন ঠেলে দেন সেদিনই উপনির্বাচনের ভাগ্য লিখিত হয়ে গিয়েছিল। দিনহাটার আজকের এই বিপুল জয় নিয়ে তাই খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন-রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নয়
আজকে যে চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনের শান্তিপুরে প্রায় ৫০০০০এর কাছাকাছি ভোটে, খড়দহে প্রায় ১০০০০০ কাছাকাছি ভোটে এবং বাকি দুটি কেন্দ্রে ১০০০০০ এরও বেশি বিপুল সংখ্যক ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো শান্তিপুর এবং কিছুটা খড়দহর ক্ষেত্রে তার কারণ শান্তিপুরে এর আগেরবার ভোটে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রায় ১৬০০০ এর কাছাকাছি ভোটে , এই সময় বাম এবং কংগ্রেসের জোট ছিল, বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ৯০০০ এর কাছাকাছি ভোট পেয়েছিল । অর্থাৎ যদি বামের ভোট ও কংগ্রেসের ভোট পরীক্ষা করে দেখি মোটামুটি যদি অর্ধেক অর্ধেক ভাবি তা হলেও এক একটি দল ৪০০০থেকে ৫০০০ ভোট দিয়েছিল তাদের প্রার্থীর পক্ষে অর্থ যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই ৫০০০ কংগ্রেস প্রার্থী ভোট পেয়েছিল যেহেতু প্রার্থীটি কংগ্রেসের ছিল এবং বাকি ৪০০০ ভোট বামেদের থেকে পেয়েছিল বা এর উল্টোটা এই ৪০০০বা ৫০০০ মার্জিন তাকে ধরি তাহলেও দেখা যাচ্ছে যে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট হওয়ার কথা ৪০০০ থেকে ৫০০০ এবং বামেদের ৪০০০ থেকে ৫০০০
এবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট অর্থাৎ ২০২১ নির্বাচনে ৯০০০ ভোটকে ছাপিয়ে যাওয়া নয় বাম প্রার্থী একক ভাবে প্রায় সেখানে ৩০০০০ ভোট পেলেন বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টা এতটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর আগে বামপন্থীদের মুখে বলতে শুনেছি ভোটার কারো কেনার নয় ক্যাম্পেইনিং করে বলেছিলেন ২১ শে রাম ২৬ শে বাম । ২১শে বিজিপি ক্ষমতায় আসবে বঙ্গের বুকে এবং ২৬ শে বিজিপি কে সরিয়ে নাকি তারাই ক্ষমতায় আসবে এবং এই আশায় শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে বা বকলমএ আরো বলা ভালো শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারানোর জন্য ঠেলে বামপন্থীরা ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে এটাই প্রমাণ করে যে ২১শে রাম ২৬ শেষ বাম স্লোগানে যে বামপন্থীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারানোর জন্য সেদিনকে বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন আজকে সেই ভোটটা বিজিপির দিক থেকে সরে এসেছে
আরও পড়ুন-“টাকা-নারীতে মগ্ন-মস্তান”, দিলীপ-কৈলাসকে তোপ দেগে টুইট তথাগতর
আজকের রেজাল্ট এর ফলাফল তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। আজকে বামপন্থীদের শান্তিপুরের বুকে প্রায় ৩০০০০ কাছাকাছি ভোট পেলেন অর্থাৎ যদি উপনির্বাচনে ৫০০০ ভোট বামেদের ধরি আর বাকি তাহলে সে অতিরিক্ত ২৫০০০ ভোট বিজেপির ঘর থেকে চলে আসলো সিপিএমের ঘরে তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের মার্জিনটা এই মাত্রায় বেড়ে গেল। একই রকম ভাবে আমরা খড়দহ এর বুকেও দেখতে পারছি বামের ভোট এক্ষেত্রে যতটা বেড়েছে বিজেপির ভোট কমেছে এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের মার্জিন আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । এটুকুতেই তো শেষ নয় । মূল জায়গাটা হল তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল ভোট বৃদ্ধি । একটি জিনিস আমাদের প্রত্যেকটি মাথায় রাখতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ক্ষেত্রে বলা ছিল ক্ষমতায় আসলে পরে আমাদের বাংলার মায়েদের জন্য বাংলার মেয়েদের জন্য লক্ষীভান্ডার আনবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রেখেছেন নির্বাচনের আগে দুয়ারের সরকার, স্বাস্থ্যসাথী এনেছেন আমরা দেখেছিলাম বিরোধীদের বামপন্থী ও বিজেপিরা ব্যঙ্গ করত , ব্যঙ্গ করে বলতেন এই সরকার শুধুমাত্র ভোটের জন্য নিজেদের স্বার্থে স্বাস্থ্যর মতো এরকম প্রকল্প আনছে , দুয়ারের সরকার আসছে ভোট মিটে যাবে তারপরে এই প্রকল্প আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ আমরা দেখেছি আজও সেই স্বাস্থ্যসাথী শুধুমাত্র বাংলার বুকে নয় সারা পৃথিবীর বুকে একটা সেরা প্রকল্প হিসেবে । যেই প্রকল্পে মানুষকে তার স্বাস্থ্যের অধিকার , নিরাপত্তা অধিকার তি সুনিশ্চিত করতে সহযোগিতা করেছে। স্বাস্থসাথী রমরমিয়ে চলছে , মানুষ স্বাস্থ্যপরিসেবা নিশ্চিতভাবে পাচ্ছেন, সরকারি ক্ষেত্রে পাশাপাশি বেসরকারি জায়গাতে যে মানুষ ঢুকতে পেতেন না আজ সেখানে সহজেই মানুষ ভর্তি হতে পারছে নিজেদের চিকিৎসা করাতে পারছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কার্যকর হওয়ার ফলে। অর্ধেক গরিব মানুষ, প্রান্তিক মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন বিনামূল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁকে এই অধিকার এবং এই সুযোগ তাকেব্যবস্থা করে দিয়েছে। একই রকম ভাবেই দুয়ারে সরকারে যখন নির্বাচনের ফল বেরোলো তারপরই আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প, এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে গ্রামের মহিলারা ,শহরের মহিলারা , সাধারন মহিলারা তারা ৫০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতির ও উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন এবং একজন মহিলা পরিবার পিছু এইটাকা পাচ্ছেন এই পরিবারের চারটে ভোট সেই ভোটটাও কিন্তু নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই । আজকে দিনহাটা , আজকে শান্তিপুর, আজকে গোসাবা বা খড়দহ সর্বএ যে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভোট সেটা কিন্তু একটা বিরাট অংশের কারণ লক্ষীর ভান্ডার ভারতবর্ষের মধ্যে অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ সেখানকার মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করা , মহিলাদের স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী প্রকল্প , যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছেন সেটার সরাসরি একটা প্রতিফলন ভোটে র উপরে পড়েছে। এর সাথে সাথে উল্টোদিকে একটা সরকার কেন্দ্রের বুকে ক্ষমতায় রয়েছে যারা রোজ পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে। আজকের দিনে পেট্রোলের দাম কলকাতা শহরে প্রায় ১১১ টাকা ছুঁই ছুঁই । ভারতবর্ষের বুকে রেকর্ড করেছে রাজস্থানে পেট্রোলের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাঞ্জাবি পেট্রোল ১২০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে, ডিজেল ১১০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রোজ দাম বাড়ছে। রান্নারগ্যাসের দাম রোজ বাড়ছে। এরা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল “বসত হুয়া পেট্রোল ডিজেল পার বার আখরীবার মোদি সরকার”২০১৪ সালে যারা মানুষকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনেছিল মানুষ জর্জরিত মানুষ রাস্তাঘাটে বের হতে পারছে না । বাস চলতে পারছো না লরি চলছে না , যার ফলে পণ্য পরিবহন হচ্ছে না সবজি পরিবহন হচ্ছে না। এর ফলে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে। মানুষ এই যন্ত্রণা জর্জরিত, মানুষের যন্ত্রণায় বীতশ্রদ্ধ , একদিকে ব্যাংকে সুদের হার রোজ কমিয়ে দিচ্ছে, এরফলে মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের কোপ পড়ছে , এরপর পার্লামেন্টে “এফআর ডি আই”বিল আনতে চলেছে । এই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষ সব পরিষ্কার জবাব দিয়েছে যে একটা সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গরিব মানুষের হাতে অর্থ পৌঁছে দিচ্ছে , মানুষের হাতে আর্থিক ক্ষমতায়ন করছে , আর উল্টো দিকে কেন্দ্রের সরকার মানুষের সমস্ত সঞ্চিত অর্থ সেটা কেড়ে নিতে উদ্ধৃত হয়েছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে দিনযাপন করতে। আপনারা জানেন আজকেই লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে গতকাল থেকে সমস্ত EMU এবং MMU আরো তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যে শান্তিপুরে আজ নির্বাচন হচ্ছে এর আগে শিয়ালদা থেকে শান্তিপুর যেতে ৩০টাকা ভাড়া দিতে হতো সেই ৩০ টাকা ভাড়া টিকিট রেলে আজকে ৯০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। শুধুমাত্র ট্রেনের নাম বদলে স্পেশাল ট্রেন বলে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত ট্রেনে বয়স্ক মানুষদের জন্য কন্সেশন তুলে দেওয়া হচ্ছে। বল হয়েছিল করোনার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে সুযোগ-সুবিধা তুলে দেয়া হচ্ছে এখন সেটাকে বলা হচ্ছে আরও তাতে ৩০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ সমস্ত জায়গার দাম বাড়াচ্ছে আর মানুষের দিনযাপন কে প্রতিদিনের থেকে প্রতিদিন দুর্জাপন করে তোলা হচ্ছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষের সরাসরি গণতন্ত্রের প্রতিফলন আজকের এই ভোটে দেখা যাচ্ছে আজকে প্রায় ১৫০০০০ ভোটের কাছাকাছি প্রায় প্রায়, গোসাবা এবং দিনহাটা প্রায় ১০০০০০ কাছাকাছি ভোটে , খড়দহতে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের মতে প্রবীণ প্রথম বিধায়কের প্রথম জয় , এবং অবশ্যই শান্তিপুরে প্রায় ৫০০০০ কাছাকাছি ভোটে যে জায়গা থেকে বিজেপি তাদের নিজের দুর্গ বলে দাবি করত এবং শান্তিপুরের ক্ষেত্রে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মতুয়া ভোট বিজেপি থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। কারণ মতুয়াদের কে CAA, NRC এসবের কথা বলে লোকসভা ভোটে বিভ্রান্ত করেছিল। মানুষ দেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রথম থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে এই কালো আইনের প্রতিবাদ করেছে।
আরও পড়ুন-চাপের মুখে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার রেলের
মানুষ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্বাচিত করেছিল অমিত শাহকে , ভারতবর্ষের মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচিত করেছিল সেই মানুষকেই চ্যালেঞ্জ করছে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহের সরকার। মানুষের নাগরিকতার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করছে নিজ ভূমিতে পরবাসী করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ মতুয়া সমাজের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। তাদের রাগের একটা প্রতিফলন শান্তিপুরের ভোটের বুকে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের দিনহাটার ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্যণীয় বিষয় যে চা-বাগানের শ্রমিকদের যন্ত্রনা নরেন্দ্র মোদি লোকসভাভোটের আগে বলেছিলেন ১৪ চা বাগান খুলে দেবো। একটাও চা বাগান তারা খোলেননি। উল্টে পশ্চিমবঙ্গের সরকার উদ্যোগ নিয়ে ৭টা চা বাগান নতুন করে পূর্ণ জীবন দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যদি এই অত্যাচারী শক্তি কে কেউ যদি হারাতে পারে নাম তৃণমূল কংগ্রেস যার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুযোগ্য নেতৃত্ব, মমতা বন্দোপাধ্যায় দেখানো পথে আগামী দিনে সারা ভারত বর্ষ নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ তাদেরকে হারানোর জন্য যে শক্তি সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে তার নাম হল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেস চোখে চোখ রেখে বিজেপিকে হারিয়েছে ২০২১এবং এই ২০২১ পশ্চিমবঙ্গে যে ট্রেলার দেখিয়েছে ২০২৪ গোটা ভারতবর্ষে কে যে সিনেমাটা দেখানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে অমিত সাহা এবং নরেন্দ্র মোদী পতনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে যে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে সেই লক্ষ্যে এই বিধানসভার উপনির্বাচন আগামি দিনকে প্রমাণ করে দেবে।