প্রতিবেদন : সোমবার গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের পুণ্যতিথি। কথায় আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। কিন্তু সেসব দিনকাল এখন অতীত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনায় গঙ্গাসাগর তীর্থও এখন ‘বারবার, প্রতিবছর’। শুধুমাত্র এই রাজ্য নয়, দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এবছরের সাগরমেলায়।
আরও পড়ুন-তৃণমূলনেত্রীর কথাই মানল ইন্ডিয়া, কর্মিসভায় চন্দ্রিমা
গতবছর সাগরে রেকর্ড পরিমাণ ৫১ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর ইতিমধ্যেই ৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সাগরে পৌঁছে গিয়েছেন। কলকাতার বাবুঘাট ট্রানজিট ক্যাম্পেও ভিড় সারা দেশের সাধু-সন্তদের। সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া-চিকিৎসা ও বাবুঘাট থেকে অতি সহজেই গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের সুব্যবস্থায় খুশি সাধু-সন্ত থেকে পুণ্যার্থীরা। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা অকপটে স্বীকার করছেন, কলকাতা থেকে সাগরতট, সরকারের তরফে গঙ্গাসাগর মেলার মতো এত নিখুঁত শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থাপনা অন্য কোনও রাজ্যের তীর্থক্ষেত্রে নেই। এত বড় মাপের তীর্থ-মেলা আয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনই দেশের সেরা।
আরও পড়ুন-অভিষেকের নির্দেশে শিবির পুণ্যার্থীদের পরিষেবা তৃণমূলের
পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে যাতায়াতের জন্য বাস, লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের তরফে রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়। বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত ১১০০ সিসি ক্যামেরা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে ২৪ ঘণ্টা। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় ৪৫টি ওয়াচ টাওয়ার ও ১৪ হাজার পুলিশকর্মীর সঙ্গে রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও। বাবুঘাটের ট্রানজিট ক্যাম্পের অনেক পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই সাগরে স্নান সেরে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে ফিরে এসেছেন। সেরকমই উত্তরপ্রদেশের এক পুণ্যার্থী বললেন, আগের বছরও এসেছিলাম। যাতায়াতের এত সুব্যবস্থা এখন, এবার থেকে প্রতিবছরই আসব।