প্রতিবেদন : হায়দরাবাদ ম্যাচের ভুল করেননি কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal-Sreenidhi Deccan) কোচ রবিবার শ্রীনিধি ডেকান এফসি-র বিরুদ্ধে ছয় বিদেশিই নামিয়ে দিয়েছিলেন। তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছেন। প্রথমার্ধেই আই লিগের দলটিকে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়ে জোড়া গোল তুলে নেয় মশালবাহিনী। দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীনিধি পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করলেও ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ১৯ জানুয়ারি সুপার কাপ ডার্বির আগে আগে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থাকল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল খাওয়ার রোগ না সারায় রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় থাকলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। লাল-হলুদের দুই গোলদাতা হিজাজি মাহের ও জেভিয়ার সিভেরিও। শ্রীনিধির গোলদাতা উইলিয়াম। গোল করে রক্ষণ সামলে ম্যাচের সেরা হিজাজি। টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত লাল-হলুদ।
ক্লেটন সিলভা, সিভেরিও, নন্দকুমারদের আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় শ্রীনিধি। ৭ মিনিটেই সহজ সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গলের কাছে। পারদোর ডিফেন্স চেরা থ্রু শ্রীনিধি বক্সে ফাঁকায় পেয়ে যান সিভেরিও। কিন্তু সিভেরিও বল গোলে রাখতে পারেননি। আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে খেলার মধ্যেই ১২ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত হেডে গোল করেন হিজাজি। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। নিশু কুমারের ফ্রি-কিকে অনবদ্য হেডে কোনাকুনি বল রাখেন হিজাজি। শ্রীনিধি গোলকিপার একটু এগিয়ে থাকায় বলের নাগাল পাননি। বল জালে জড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন- মকর সংক্রান্তিতে শুভেচ্ছাবার্তা অভিষেকের
১৮ মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal-Sreenidhi Deccan)। পারদো-নন্দর যুগলবন্দিতে ফাঁকায় বল পেয়েও বল বাইরে মারেন বোরহা হেরেরা। বল দখল নিয়ে ইস্টবেঙ্গলই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখে। ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইস্টবেঙ্গল। সিভেরিওর বাঁ-পায়ের দূরপাল্লার ভলি শ্রীনিধির এক ফুটবলারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢোকে। প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে ২-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাল-হলুদবাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের খেলায় সেই ঝাঁজ ছিল না। তবে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল কলকাতা জায়ান্টরা। ক্লেটন, নন্দ, ক্রেসপোরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। শেষদিকে ক্রেসপোর শট পোস্টে লেগে ফেরে। দ্বিতীয়ার্ধে অতিরক্ষণাত্মক হয়ে একটি গোলও হজম করে ইস্টবেঙ্গল। সংযুক্ত সময়ে অজয় ছেত্রীর ভুলে একটি পেনাল্টি আদায় করে নেয় শ্রীনিধি। উইলিয়াম গোল করে ২-১ করেন। ম্যাচে শ্রীনিধির একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিলও হয়। এই স্কোরলাইনেই জয় ইস্টবেঙ্গলের।