প্রতিবেদন : কথায় বলে ভালবাসা পেলে পাথরেও ফুল ফোটে, আর মানুষ তো কোন ছার। এই ভালবাসাই এবার ১৩ বছর পর এক মানসিক রোগীকে সুস্থ করে পাঠাল পরিবারের কাছে। অসাধ্যসাধন করল পাভলভ হাসপাতাল। স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন পর স্ত্রীকে আগের মতো সুস্থভাবে ফিরে পেয়ে খুশি স্বামী। ২০১০-এ কলকাতায় এসে হারিয়ে গিয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের গৃহবধূ গুরবারি বারেথ।
আরও পড়ুন-বিপন্ন শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব উদ্যোগ
সেই সময় বিমানবন্দর থানার পুলিশ ১১ দিনের সন্তান-সহ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আদালতের নির্দেশে পাভলভ হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটিকে ভর্তি করা হয় ফুলবাগানের শিশু হাসপাতালে। এরপর পাভলভই হয়ে ওঠে গুরবারির স্থায়ী ঠিকানা। হাসপাতালে মাঝেমধ্যে উন্মত্ত হয়ে উঠতেন তিনি। বাংলা জানতেন না, মনোরোগের কারণে কথা বলাও একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই হাল ছাড়েননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ধৈর্য ও ভালবাসা দিয়ে দীর্ঘ কাউন্সেলিং করে অবশেষে সফল তাঁরা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর গড়া অ্যাকাডেমির উদ্যোগে কাঁসাইপাড়ে টুসু পরব
শেষে চিকিৎসকদের তিনি বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির পাশে কাঁসা-পিতলের বাসনের একটি কারখানা ছিল। সেখানে সারাক্ষণ ঠুং-ঠাং শব্দ হত।’’ ব্যস এই বিষয়টিকেই কাজে লাগালেন হাসপাতালের সুপার। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ফুলবাগান থানার পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত স্বামী ললিত বারেথের কাছে ফিরে গেলেন তিনি। এরমধ্যেই জানা গিয়েছে, সুস্থ হলেও, যাঁরা নাম-ঠিকানাবিহীন হয়ে হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন, তাঁদের কীভাবে ঘরে ফেরানো যায়, তারও প্রয়াস শুরু করেছেন পাভলভ হাসপাতালের নবনিযুক্ত সুপার মহম্মদ মাসুদ।