বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: হাতির হানায় মৃত কালচিনির চা-শ্রমিক রঞ্জিত ওরাওঁয়ের স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল বন দফতর। মঙ্গলবার মৃতের স্ত্রী লালো মুন্ডার হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র উপ অধিকর্তা পারভীন কাসোয়ান। বন্যপ্রাণীর হানায় মৃতদের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। এই মানবিক উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-পাল্টে গেল এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের কভার পিকচার
এর আগেও এই প্রকল্পে মৃতের পরিবারের সদস্যের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তরে এটি প্রথম নিয়োগ বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র উপ অধিকর্তা (পশ্চিম) পারভিন কাসোয়ান। তিনি বলেন, চা-শ্রমিকের মৃত্যুর পরই তাঁর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা। এবার প্রকল্প অনুযায়ি মঙ্গলবার মৃতের স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাগান শ্রমিকের মৃত্যুর সাত মাসের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ফরেস্ট ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজে যোগ দেবেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রয়াত রঞ্জিত ওরাওঁ ছিলেন কালচিনি ব্লকের চিনচুলা চা-বাগানের একজন চা-শ্রমিক। ২০২৩ সালের জুন মাসে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান তিনি। মৃত্যুর সময় তিনি রেখে যান তাঁর স্ত্রী ও দশ মাস বয়সি শিশুপুত্রকে। রঞ্জিতের আকস্মিক মৃত্যুতে অথৈ জলে পড়ে তাঁর পরিবার। তাঁর স্ত্রীর পক্ষে সংসার চালানোর কোনও উপায় ছিল না।
আরও পড়ুন-কলকাতার রাজপথে মেগা সংহতি মিছিলের ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বন দফতর দ্রুত রঞ্জিতের স্ত্রী লালো মুন্ডাকে বন দফতরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এর ফলে আগামী দিনে প্রয়াত রঞ্জিত ওরাওঁর পরিবার মর্যাদার সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এই বিষয়ে পারভিন কাসোয়ান জানিয়েছেন, রঞ্জিত ওরাওঁয়ের মৃত্যুর পর, তাঁর পরিবার খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছিল, আমরা ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।