দাদুর কোলে থাকা অবস্থায় প্রতিবেশীর কুকুর একটান মারল শিশুটিকে। কুকুরের সঙ্গে লড়াইয়ে দেড় বছরের ওই শিশু রক্তাক্ত হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যায় পায়ের হাড়। সম্পূর্ণ ঘটনাটি দেখা যায় পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV footage)। কীভাবে শিশুর পা কামড়ে টানতে থাকে কুকুরটি সেই ভয়াবহ দৃশ্যে আঁতকে ওঠে সকলে। শুধু তাই নয় যাঁর পোষ্য এই কুকুর, তিনি নিজেও ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারের নেতাড়া স্টেশনের কাছে ভস্মীভূত চামড়ার কারখানা
প্রায় ১ মিনিট পর কুকুরটিকে ছাড়ানো সম্ভব হয়। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার পর ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ওই শিশু। তার শরীরে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় হাড় ভেঙে গিয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে যে কুকুরটি আছে সেটি পিট বুল প্রজাতির। ভারতে এই প্রজাতির কুকুর রাখা নিষিদ্ধ তবু অনেকেই রাখছে। বলা হয়, এই কুকুর রাখলেও রাস্তায় বেরোনোর আগে এর মুখ বন্ধ রাখতে হবে। যদিও কুকুরের মালিকের তরফে এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন-স্টেশনে ভিক্ষা করেই কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স!
দিল্লির (Delhi) বুরারিতে গত ২ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। শিশুটি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খুদে শরীরে ১৮টি সেলাই পড়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রায় ৬-৭ জন মিলে কুকুরকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিশুটির পরিবার মনে করছে লোকালয়ে এই জাতীয় কুকুর নিয়ে বেরোলে অন্যান্যদের ঝুঁকি বাড়ছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানালেন পরিবার।