প্রতিবেদন : রাজ্যের চালকলগুলিতে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ কেন খরচ হচ্ছে তা জানতে বিদ্যুৎ দফতরের সাহায্য চেয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর (West Bengal food department)। কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ধান ভাঙার ক্ষেত্রে কিছু চালকলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই পুরো বিষয়টা গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছে খাদ্য দফতর (West Bengal food department) এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের খুঁটিনাটি জানতে সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের পর তা চালকলগুলির কাছে ভাঙানোর জন্য পাঠানো হয়। কিছু চালকলে নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই চাল ভাঙিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বাজারে। এবং পরিবর্তে নিম্নমানের ধান বাজার থেকে কিনে তার চাল খাদ্য দফতরকে ফেরত দিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। তা রুখতেই চালকলগুলির বিদ্যুৎ খরচের প্রকৃত হিসাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খাদ্য দফতরের কর্তারা বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন। এ ছাড়া সংগ্রহকেন্দ্র থেকে ধান চালকল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং খাদ্য দফতরের গুদামে ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহৃত সমস্ত গাড়িতে অবস্থা নির্ণায়ক প্রযুক্তি বা জিপিএস বসানোর বিষয়টি নিয়েও পরিবহন দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এজন্য আইনি খুঁটিনাটি মেটানোর প্রক্রিয়া চলছে। এখানেই শেষ নয়, সহায়কমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতেও তৎপর হল রাজ্য। মধ্যস্বত্ব ভোগী ও ফড়েদের তৎপরতা আটকাতে এবার রাইস মিলগুলির জন্য ধান সংগ্রহ করার জায়গা বারবার পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। ধান সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা পারচেজ অফিসারদেরও নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলে দেওয়া হবে। চলতি মরশুমে গত পয়লা নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে যে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের নেতৃত্বে আধিকারিকরা সম্প্রতি সব জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে একটি রাইস মিল কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ধান কিনতে পারবে না। খবর খাদ্য দফতর সূত্রে। ভিডিওগ্রাফিও করা হচ্ছে ধান সংগ্রহের।
আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগে এজেন্সি-রাজনীতি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি