প্রতিবেদন : কার্যত বিনাবাধাতেই বাম ছাত্র রাজনীতির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) পালন করা হল রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। সোমবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে পালন করা হয় রামের নামে আচার-অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন-বন দফতরের কাটা গাছ বিজেপি নেতার বাড়িতে
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে দেখানো হল প্রাণপ্রতিষ্ঠার সরাসরি সম্প্রচার। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চলেছে পুজোপাঠ, যজ্ঞ, শোভাযাত্রা এবং প্রসাদ বিতরণ। বিনা বাধায় অনুষ্ঠান চললেও প্রশ্নের মুখে মান বাঁচাতে শেষবেলায় সক্রিয় হয় বামেরা। সোমবার সারাদিন রামের অনুষ্ঠান পালনের পর বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সংবিধানের সারমর্ম পাঠ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ভারত একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান আটকাতে বাম ছাত্রনেতারা সময়সমত সক্রিয় হননি বলে জানিয়েছেন সাধারণ পড়ুয়ারাই।
দিনভর গেরুয়া শিবিরের তৎপরতার সামনে জেএনইউতে বামেরা কিছুটা পিছু হটল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেষবেলায় তারা প্রতিবাদ করে বটে, তবে আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর।
আরও পড়ুন-চোর ধরার নামে ওঝা ডেকে মহিলাকে নি.গ্রহ
সংঘের নির্দেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি সদস্যরা। এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের তরফে সৌরভ শর্মা বলেন, সকাল থেকেই পুজোপাঠের মাধ্যমে আমরা আজকের দিনটিকে পালন করেছি। রাতেও রামের নামে দীপ জ্বালানোর উৎসব হবে।




