দুবাই, ৪ নভেম্বর : চলতি বিশ্বকাপের সবথেকে ছোট ম্যাচ হল বৃহস্পতিবার। যাতে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৬.২ ওভারে বাংলাদেশের ৭৩ রান টপকে গেল দুই উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশ এই রান তুলেছিল ১৫ ওভারে। যার অর্থ, দুবাইয়ে এদিন খেলা হল সাকুল্যে ২১.২ ওভার। জিতে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট দাঁড়াল চার ম্যাচে ৬। রানরেট +১.০৩১। দক্ষিণ আফ্রিকারও চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকল অস্ট্রেলিয়া। এই গ্রুপে ইংল্যান্ড ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের রাস্তা পাকা করে ফেলেছে।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। সেই লম্বা সোনালি চুল আর নেই। জাম্পার এখন ছোট চুল। কিন্তু চুলের স্টাইল যতই বদলান না কেন, লেগস্পিনের ভেল্কি আগের মতোই। সেই ভেল্কিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৭৩ রানে। আর অস্ট্রেলিয়া সেই রান তুলে নিল ৩৮ বল খেলে। আট উইকেটের এই জয়ে তাদের পয়েন্ট বেড়ে গেল। অনেকটা বেড়ে গেল রানরেটও। এতে সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়েও চাপে পড়ে গেল তেম্বা বাভুমার দল।
জাম্পার বোলিং গড় ৪-০-১৯-৫। তাঁর পাশে দুটি করে উইকেট মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড। ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ শুরুতেই যে গাড্ডায় পড়েছিল, সেখান থেকে তারা আর বেরোতে পারেনি। তাদের ইনিংসে মাত্র দু’জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পা রাখতে পেরেছেন। এঁরা হলেন ওপেনার মহম্মদ নইম (১৭) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তাঁদের ইনিংসে স্টার্ক ও হ্যাজলউড প্রথমেই তুলে নেন লিটন দাস (০), সৌম্য সরকারকে (৫)। এরপর ম্যাক্সওয়েল মুশফিকুরকে (১) তুলে নিয়ে সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন। এরপর আসরে নামেন জাম্পা। মরুদেশের উইকেট এমনিতেই স্পিনারদের রমরমা। জাম্পা তাঁর বোলিংয়ে চাতুরির সঙ্গে ফ্লিপার-গুগলি মিশিয়েছেন। যা ধরতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাটাররা। শেষদিকে পরপর উইকেট নিয়েছেন জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ওয়ার্নার (১৮) ও অ্যারন ফিঞ্চ (৪০) আউট হয়েছেন। মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়াল নট আউট থেকে যান যথাক্রমে ১৬ ও ০ রানে।