প্রতিবেদন : ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে নিয়ে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার বিমান (Russian plane)। ইউক্রেনের সীমানা পেরোনোর আগেই দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানে থাকা সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রুশ প্রশাসন। ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ ক্রেমলিনের।
আরও পড়ুন- সংসদে পাশ সংশোধনী কেন মানবে না কেন্দ্র? কড়া প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের একদল বন্দি সেনাকে নিয়ে যাচ্ছিল রুশ বিমানটি (Russian plane)। চালক ছাড়া ওই রুশ বিমানে ছিলেন পাঁচ জন ক্রু সদস্য। রুশ সেনার তিন প্রতিনিধি এবং রাশিয়ার হাতে বন্দি ইউক্রেনের ৬৫ জন সেনাকর্মী ছিলেন বিমানে। ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের জন্য বুধবার তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাত্রাপথে রাশিয়ার ইলিউশিন ২-৭৬ নামের সেনা পরিবহণ বিমানটি ভেঙে পড়ে ইউক্রেন সীমান্তে। বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার ওই সেনা পরিবহণ বিমানটি সজোরে ভেঙে পড়ছে মাটিতে। তার পরেই একটি বিস্ফোরণ। আকাশে উড়ছে আগুনের এক বিশাল গোলা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিমানবাহিনী কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যেমন রাশিয়ার পার্লামেন্টের আইন প্রণেতা তথা অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্দ্রেই কার্তাপোলভের দাবি, পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালীন বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল। যদিও কোন সূত্রে এই তথ্য পেয়েছেন তা জানাননি তিনি। এছাড়া গত কয়েক মাসে এই বেলগোরোড অঞ্চলে একাধিক হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। ডিসেম্বর মাসেই ইউক্রেনীয় ফৌজের মিসাইল হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫ জন।