প্রতিবেদন : চিন সফর সেরে দেশে ফিরে আবার জিনপিং সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। বললেন, মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে চিন। সেজন্য দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মুইজ্জুর এই মন্তব্যকে অনেকেই ভারতের প্রতি ‘খোঁচা’ বলে মনে করছেন। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উপর মালদ্বীপের অতিরিক্ত নির্ভরতার পথ থেকে তাঁর সরকার যে সরে আসতে চায়, ইতিমধ্যেই তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে। এর আগে মুইজ্জু বলেছিলেন, আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু আমাদেরও আত্মসম্মান রয়েছে। সেই ইঙ্গিতও ছিল নয়াদিল্লির দিকেই। প্রেসিডেন্টের চিন সফরের পরই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছে মুইজ্জুর প্রশাসন। মালদ্বীপ সরকারের দাবি, ১৫ মার্চের মধ্যে সে দেশ থেকে সব ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নিতে হবে। এখনও পর্যন্ত এ-বিষয়ে প্রকাশ্যে কড়া কোনও প্রত্যুত্তর দেয়নি মোদি সরকার। তবে সব মিলিয়ে আগের সরকারের ভারতবন্ধু নীতি বদল করে মালদ্বীপের বর্তমান মুইজ্জু সরকার যে পুরোপুরি চিন-ঘেঁষা নীতি নিয়ে চলেছে ঘটনা পরম্পরায় তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- টাটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতে চপার বানাবে এয়ারবাস
ভারতের সঙ্গে এই টানাপোড়েনের আবহেই মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের নয়া চিন-প্রশস্তি যে নতুন করে নয়াদিল্লির অস্বস্তি বাড়াবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। চিনের সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। সেখানে তিনি বলেন, চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প মালদ্বীপকে উন্নয়নের পথে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুইজ্জু এও বলেন, চিন এমন এক দেশ যে কখনও মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। চিনা প্রেসিডেন্ড শি জিনপিংয়ের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ মুইজ্জু। বলেন, তিনি এমন এক নেতা যাঁর নেতৃত্বে চিনের অর্থনীতি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। স্বভাবতই মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের ধারাবাহিক চিনমুখী অবস্থান ও জিনপিং সরকারের প্রশংসা কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের চাপ আরও বাড়াতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই।