সংবাদদাতা, বোলপুর : কাঁথা স্টিচের কাজের স্বীকৃতি আদায় করে পদ্মশ্রী পেলেন বোলপুরের জাম্বুনির তকদিরা বেগম। সুখবর পেয়েই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি এবং বস্ত্র মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বাড়ি গিয়ে তাঁকে সংবর্ধনাও জানিয়ে এলেন। বস্ত্র মন্ত্রক থেকে দিনকয়েক আগে তাঁকে ফোনে জানানো হয় সুসংবাদটি। খবরটা শুনে প্রথমে চমকে যান তিনি। তার পরেই তিরিশ বছরের কাজের স্বীকৃতি পেয়ে চোখের কোণ দুটি ভিজে যায়। তিরিশ বছর ধরে নিজেকে কাজের মাধ্যামে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন বোলপুরের জাম্বুনির মাদ্রাসাপাড়ার সংখ্যাজলঘু পরিবারের তকদিরা।
আরও পড়ুন-রাজ্য সরকারি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক
এই কাঁথা স্টিচের কাজ করে বিয়ে দিয়েছেন তিন মেয়ের। বাবার আদিবাড়ি শ্রীকৃষ্ণপুর। পরে জয়কৃষ্ণপুরে বাবা থাকতে শুরু করেন। ভেদিয়া বালিকা বিদ্যািলয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। পঞ্চম শ্রেণিতে সেলাইয়ের ক্লাসে সেলাই ফোঁড়ের কাজ তাঁকে আকর্ষণ করে। তারপর মায়ের কাঁথা স্টিচের কাজ তাঁকে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে সূচিশিল্পই মুগ্ধ করে। তকদিরার হাত দিয়ে অনেক তরুণী সাবলম্বী হয়েছে। তাই অনেকের কাছে তিনি পথিকৃৎ। পুরাতন কাঁথা স্টিচ থেকে বেরিয়ে আধুনিক ডিজাইনের কলকা ফুটিয়ে তোলেন অবলীলায়। রাজ্যে ও জাতীয়স্তরে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। তকদিরা জানান, ৯৫ সালে ন্যা শনাল মেরিট অ্যা ওয়ার্ড, ৯৬-এ ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৯ সালে শিল্পগুরু পুরস্কার পান। বলেন, সংখ্যাবলঘু সংরক্ষণশীল পরিবারেও এখন মেয়েরা ঘরে বসে থাকে না। তাঁর মতো অনেক মেয়েই সাবলম্বী। ধর্মপ্রাণ তকদিরা তিনবার হজে গিয়েছেন।