প্রতিবেদন : “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন”! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বামশাসিত কেরলে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক বিগত কয়েক বছর ধরেই তলানিতে ঠেকেছে। একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপের জেরে দুই প্রধানের চরম সংঘাত চলছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। এই সংঘাত কেরলের রাজনীতিতে নতুন নয়।
আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের জন্য পর্ষদের নির্দেশ
তবে মোদি জমানায় তা কুৎসিত আকার নিয়েছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপালরা। নির্বাচিত সরকারকে নানা ইস্যুতে অপদস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাতেও রাজ্যপালের এই ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। গত শনিবার কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, ‘কালো পতাকা’ দেখানোর ঘটনা সংঘাতের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। এবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের ক্ষোভের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।
আরও পড়ুন-বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজপথে তৃণমূল
শনিবার কেরলের কোল্লাম জেলায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ। তাঁর কনভয় নীলমেন এলাকায় পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আর তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান আরিফ। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে ধরনায় বসে পড়েন। অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ঘটনার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এবার সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছেন কেরলের বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, এবার থেকে সিআরপিএফ কি সরাসরি কেরল শাসন করবে? নাকি রাজ্যপাল যেভাবে চাইবেন সিআরপিএফ সেই পথে কাজ করবে? এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। আরও প্রশ্ন তোলেন, ক্ষমতায় যাঁরা থাকবেন, তাঁদের মানুষের এমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তবে এ ধরনের বিক্ষোভে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছু ‘পদ্ধতি’ অবলম্বন করতে হয়। রাজ্যপালের রাস্তায় নেমে পড়ার আচরণের নিন্দা করে বিজয়ন বলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা দেখার জন্য গাড়ি থেকে কাউকে নেমে আসতে দেখেছেন কি?