আগরতলা : রাজনৈতিক (political) হিংসা তো বটেই, বিভেদমূলক সাম্প্রদায়িক হিংসাও ভয়াবহভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়৷ এসব কিছুর মাঝেই হতে চলেছে আগরতলা পুরনিগমের নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি আগরতলার ৫১টি আসনের প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও হিংসাত্মক আক্রমণের মাধ্যমে তৃণমূলকে থামাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। সে প্রসঙ্গে ফের সরব হয়ে উঠলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা আটকাতে লাগাতার হিংসা চালিয়েছে বিজেপি। যদিও এতকিছুর পরও ১০০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন সুবল ভৌমিক বলেন, তৃণমূল প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারে তার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি অফিসের বাইরে লাঠি-সোটা, অস্ত্র হাতে জমায়েত করে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির গুন্ডারা। বহু জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসা হয়েছে। তারপরও ১০০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছি আমরা। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা ধরে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। লাগাতার ভয়াবহ হিংসার জেরে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এই সরকার রাজ্য জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্ম, জাতির বিরুদ্ধে জাতিকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাসকদল চাইছে এই রাজ্যের মানুষ ভয়ের মধ্যে থাকুক। আর সেই জন্যই এরা হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করছে।
ত্রিপুরার রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও সরব হয়ে ওঠেন সুবল ভৌমিক। তাঁর কথায়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আমি ও সুস্মিতা দেব সময় চেয়েছিলাম। ২ দিন পরে তিনি জানান তিনি অসুস্থ। এই রাজ্য সরকার আমাদের সরকারিভাবে জানাক অসুস্থ রাজ্যপালের চিকিৎসা কোথায় চলছে?