ডিসেম্বরে মাঝপথে আর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিদর্শন করা হচ্ছিল না। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের আধিকারিকরা কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে পুরো পরিদর্শন না করেই চলে গিয়েছিলেন। অবশেষে সোমবার চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে চূড়ান্ত পরিদর্শন করলেন। এই অংশের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪.৮ কিলোমিটার। ৫২০ মিটার অংশ গঙ্গার নীচে আছে। সোমবার চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সকালে ট্রলিতে চেপে হাওড়া ময়দান স্টেশন থেকে পরিদর্শন শুরু করেন। এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ‘ট্রলি ইনস্পেকশন’ করেন তিনি। হুগলি নদীর নীচে টানেল দিয়ে মেট্রো চলবে তাই সবকিছুই খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। টানেলের ভেন্টিলেশন সিস্টেম, ট্র্যাকের পাশাপাশি গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গে লাইটিং সিস্টেম বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-ব্রিটেনের রাজা কিং চার্লস ক্যান্সারে আক্রান্ত
শুধু তাই নয়, এদিন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি এসপ্ল্যানেড স্টেশনে পৌঁছানোর পরে ঢোকা এবং বেরোনোর গেট খতিয়ে দেখেন। নর্থ-সাউথ মেট্রো করিডরের এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে নেমে যে রাস্তা দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ঢুকতে চলেছে, সেটার ‘ইন্টারচেঞ্জিং পয়েন্ট’ খতিয়ে দেখা হয়েছে। স্টেশন সিস্টেম ম্যাপ, লিফট, এসক্যালেটর এবং অন্যান্য যাবতীয় পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। এদিন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির সঙ্গে ছিলেন মেট্রো রেলওয়ে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-১৯ বিশ্বকাপে আজ সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দু’সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন চলে আসবে। ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের একেবারে শুরুতে পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।