প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। তার মধ্যেই মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষাখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আসলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় একগুচ্ছ উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। তার প্রধান কারণ অর্থের বরাদ্দ। যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে মিলছে না। পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের প্রস্তাবিত আর্থিক দাবি ছিল ১৭৪৫.৭৯৮৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ হোক, দরকার ন্যায়বিচার : সংসদে সরব কল্যাণ
কিন্তু কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা তার ধারেকাছেও পৌঁছায়নি। মাত্র ৩১১.২৯৪ কোটি টাকা মিলেছে। অতএব টাকা না পেলে প্রকল্প এগোবে কী করে! তাই কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ১৪৩৪.৫০৪৫ প্রাপ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রাজ্য। শুধু তাই নয় বিগত পাঁচ বছরেও বিভিন্ন খাতে প্রস্তাবিত অর্থ মেলেনি। সেখানেও ২৬৭.৬২ কোটি টাকার ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এদিন বিধানসভায় ব্রাত্য বসু বলেন, সর্বশিক্ষা মিশন খাতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার মতো বিষয় এখানেও হচ্ছে। হয় তো ওরা ২০০ পার হবার অপেক্ষায় রয়েছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা ১৭৫৪.৭৯ কোটি টাকা। কেন্দ্র আপাতত দিয়েছে ৩১১.২৯৪ কোটি টাকা। একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার রাজ্য। এবার শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজ্যকে বঞ্চিত করার পথে হাঁটছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সর্বশিক্ষা মিশন খাতেও রাজ্যের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-২০০৯-এর প্রাথমিকের প্যানেল, নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু, উঠে গেল ধরনা, চলবে আলোচনা
এদিকে, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেটেও শিক্ষার বরাদ্দ না বাড়ায় সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষাখাতে বেশ কিছু বছর ধরেই বরাদ্দ কমিয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের পেশ করা বাজেটেও শিক্ষা নিয়ে কোনও দিশা দেখা যায়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীনে চলে সর্বশিক্ষা মিশন। এই প্রকল্পের অধীনে স্কুলের নতুন ক্লাসরুম তৈরি, নতুন ভবন তৈরি, মডেল স্কুল তৈরি, শহর স্কুল শিক্ষার একাধিক ক্ষেত্রে কাজকর্ম পরিচালিত হয়। সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব ৬০ শতাংশ, রাজ্যের অংশীদারিত্ব ৪০ শতাংশ।