উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) নৈনিতালের হলদোয়ানিতে সরকারি জমিতে মাদ্রাসা (Madrasa) ও মসজিদ ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। পুলিশ ও প্রশাসনকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে জনতা। এই ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন পুলিশ অফিসার এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। শুধু তাই নয় সরকারি গাড়ি এবং ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় থানা ঘেরাও করে আগুন ধরানো হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে অবশেষে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। উপায় না দেখে হিংসা ছড়ানোর মানুষ দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের মুখপাত্র নীলেশ আনন্দ ভারনে এই মর্মে জানান, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি বিধায়কদের অসভ্যতা, ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, হঠাৎ করে কোন বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে চাওয়া হয়নি।। নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক রিচা সিং জানান হলদোয়ানিতে সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে মাদ্রাসা তৈরি করা হয়। সেইসঙ্গে আরও একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। সেটা দেখতে মসজিদের মতো। শনিবার রাতে সেগুলি সিল করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার হলদোয়ানি পুরনিগম, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের যৌথ দল সেটা ভাঙতে আসে।
আরও পড়ুন-মাথা নত করবে না বাংলা, হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে
বেআইনি কাঠামো ভাঙতে যাওয়ায় তান্ডব শুরু করে একদল উত্তেজিত জনতা। যৌথ দলের সদস্যদের পাথর ছোড়া হয়। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ১২ জন আধিকারিক আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অন্যান্য থানা থেকে পুলিশ বাহিনী আনা হয়। শুধু তাই নয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।