কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt) পোষ্য বিড়ালের মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছে । মামলাকারীর অভিযোগ করেন পশু চিকিৎসালয়ে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছিল যার ফলে তার বিড়ালের মৃত্যু হয়েছিল। মামলাকারী রাজ্যের একাধিক পশু চিকিৎসালয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যের যে সকল পশু চিকিৎসালায় রয়েছে সেগুলো বৈধ কি না সেটা জানা প্রয়োজন রয়েছে। তিনি মনে করছেন অনেকেই ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে পশু চিকিৎসালয় খুলছে। এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েই সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-ভারতরত্নে সম্মানিত সবুজ বিপ্লবের ‘নায়ক’ সহ দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। কেন্দ্রীয় পশু কল্যাণ মন্ত্রক জানাবে, কীভাবে পশু চিকিৎসালয়ের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়? পশু চিকিৎসালয় তৈরি কিভাবে হয় সেই বিষয়েও বিশদে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। পশু চিকিৎসালয়গুলি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেই তথ্য এদিন জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে।
আরও পড়ুন-৪-৬ মার্চ রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন
প্রসঙ্গত, চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ আজ প্রথম নয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে মানুষ নয়, বিড়ালের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কোর্টে। একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সংক্রান্ত মামলায় এবার কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল ।