প্রতিবেদন : আর মাত্র ছদিন পরই সরস্বতী পুজো। নবদ্বীপের ফাঁসিতলা চড়ার পালপাড়ার প্রায় ৪০টি মৃৎশিল্পী পরিবার এ সময় রাতদিন ব্যস্ত ছাঁচের প্রতিমা গড়ার কাজে। রোদে শুকিয়ে রঙ চড়িয়ে পাইকারের হাতে সময়ে সব তুলে দিতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে সেগুলি ভাল বিকোলে তবেই সরস্বতী গড়ে হবে লক্ষ্মীলাভ। যদিও মাটি ও রঙের দাম বাড়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কমেছে। বংশ পরম্পরায় ছাঁচের মূর্তি তৈরি করেন পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের কথায়, প্রতি বছর সরস্বতীর ছাঁচের মূর্তির ভালই চাহিদা থাকে। ১৮ ইঞ্চি থেকে দু-আড়াই ফুটের এই সব মূর্তি স্থানীয় বাজার ছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন অঞ্চল পারুলিয়া, ধাত্রীগ্রাম, কালনা, কাটোয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর পর্যন্ত চলে যায়।
আরও পড়ুন-রাজ্য বাজেটে ঘোষিত নয়া প্রকল্পে বাংলায় খুশির হাওয়া, ব্যান পিরিয়ডে ধীবরদের সহায় সমুদ্রসাথী
কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও যায় পাইকারি বিক্রেতাদের মাধ্যমে। গোটা রাজ্যে চাহিদা থাকায় বিভিন্ন সাইজের ছাঁচের সরস্বতী এ-বছরও ভালই বিকোবে বলে আশা করছেন পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। ছাঁচের মূর্তি গড়তে প্রথমে মেশিনে মাটি তৈরি করে নিতে হয়। তারপর বিভিন্ন ধরনের ছাঁচে ফেলে রোদে শুকিয়ে করা হয় রং। এরপর সেগুলি চলে যায় পাইকারি ব্যবসাদারের হাতে। তারা মূর্তি কেনে ৫০ টাকা থেকে ২৫০-৩০০ টাকায়। তবে উপকরণের দাম বেড়েছে, রঙের উপর বেড়েছে জিএসটি। আগে এক নৌকো গঙ্গার মাটি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন দাম লাগছে ৪-সাড়ে ৪ হাজার টাকা। এক নৌকো মাটিতে প্রায় সাড়ে তিনশো বিভিন্ন সাইজের ছাঁচের মূর্তি গড়া হয়। বাড়ির বৌ-মেয়েরাও মূর্তি গড়ার কাজে লেগে পড়েন। সরস্বতী পুজো দোরগোড়ায়। পালপাড়া এখন নাওয়াখাওয়া ভুলেছে।