প্রতিবেদন : সন্দেশখালি নিয়ে বাম-বিজেপির নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল। সন্দেশখালিতে নারীনিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা! তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্ষণ বা মহিলা নির্যাতনের কোনও অভিযোগ গ্রামের মহিলাদের থেকে পাননি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ফলে বিজেপির মুখোশ খুলে গেল। তৃণমূলের সাফ কথা, বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে সন্দেশখালি নিয়ে সর্বত্র ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। আর তাদের দোসর হয়েছে সিপিএম। বুধবার বিজেপি ও সিপিএমকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার সুনাম নষ্ট করতে নারী-নির্যাতনের নামে ভয়ঙ্কর, কুৎসিত ও মিথ্যা অভিযোগ রটানো হচ্ছে। আমরা তার বিরোধিতা করছি। বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্ররা সাংবাদিক বৈঠক করে বলছেন, বাংলায় চলছে জঙ্গলরাজ! আবার মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করছেন তাঁরা। তৃণমূলের সাফ কথা, বাংলায় কোনও জঙ্গলরাজ চলছে না। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের রাজ্যেই জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাই ধর্ষণ, নারী-শিশুদের নির্যাতন, অপহরণ, তফসিলি জাতি-উপজাতি নির্যাতনে শীর্ষে রয়েছে। এবার কি তাহলে ইস্তফা দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তাঁরা সন্দেশখালি নিয়ে মায়াকান্না কাঁদছে, কিন্তু চোপড়া নিয়ে কেন নীরব? জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
আরও পড়ুন-সন্দেশখালিকে অশান্ত করতে ফাঁস বিজেপির চক্রান্ত, প্রকাশ্যে অগ্নিমিত্রার ষড়যন্ত্রের অডিও টেপ
তৃণমূল মুখপাত্রের প্রশ্ন, সন্দেশখালিতে যদি নারী-নির্যাতনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে মহিলারা না হয় ভয়ে বলতে পারেননি, কেন বিজেপি-সিপিএমের নেতারা অভিযোগ করতে পারলেন না? নিরাপদ সর্দাররা এই কথার আগে জবাব দিন। ১৪৪ ধারা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন করছেন, তাঁরা দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন আটকাতে কী করেছেন, তা ভুলে গেলেন! রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছেন, কাঁদানে গ্যাসের সেল বর্ষণ করে চলেছেন, আর বাংলায় কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন। দিল্লিতে স্মৃতি ইরানিরা ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, আজকের দিনেই পুলওয়ামায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জনেরও বেশি সেনা। তার পঞ্চম বর্ষ কেটে গেল, কেউ কি রিজাইন করেছেন? এত কৃষক মারা গেলেন, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কি রিজাইন করেছেন? ১৪৪ ধারা জারি আছে, এই অবস্থায় কেন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা? আসলে উসকানি আর ভয় দেখানো ছাড়া বিজেপির আর কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে তাঁর সাফ কথা, আপনাদের দ্বারা আন্দোলন হবে না, তার কারণ আপনাদের মধ্যে আন্তরিকতা নেই, শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে আপনারা আন্দোলন করছেন। আর কুণাল ঘোষ বলেন, আন্দোলন থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি নাটক করেছেন। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে মহিলাদের জন্য দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা। একসঙ্গে অনেকগুলি কুৎসাকে সামনে এনে বাংলার সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। চোপড়া নিয়ে বিজেপি চুপ। এরপর মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের তরফে চোপড়ার চারটি পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিএসএফ ক্যাম্পের বাইরে প্রতিবাদ চলছে।