প্রতিবেদন : কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে যখন দিল্লির সীমান্তে ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে দেশের কৃষকদের সেই সময় রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের আলুচাষিরা। এবারের রাজ্য বাজেটে আলুচাষের বিমার কোনও প্রিমিয়ামই আর তাঁদের দিতে হবে না বলে বাজেটে ঘোষিত হয়েছে। এর আগে কৃষকদের এজন্য ৩ শতাংশ হারে প্রিমিয়াম দিতে হত। এবার সেটাও মিটিয়ে দেবে রাজ্য। ফলে একর-প্রতি প্রান্তিক কৃষকদের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ কমবে। ২০১৯ সালে প্রথম বাংলা শস্যবিমা চালু করে রাজ্য সরকার। তবে প্রথম থেকেই আলু ছাড়া অন্যান্য সব ফসলের ক্ষেত্রে বিমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম দিয়ে দেয় রাজ্যই। কিন্তু এতদিন আলুর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা ছিল না। ৪.২৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হত আলুচাষিদের। বাকিটা দিত রাজ্য। পরে ৩ শতাংশ করা হয় কৃষকদের দেয় প্রিমিয়ামের হার। এখন থেকে সেটুকুও আর দিতে হবে না।
আরও পড়ুন-স্মারকলিপির নামে বিজেপির তাণ্ডব, বিপর্যস্ত সিউড়ি শহর
প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই দেবে রাজ্য। অথচ প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় আলুর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃষকদের। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্প নিয়ে কৃষকরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। উল্টোদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক সিদ্ধান্তে রাজ্যের প্রকল্পে তাঁদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৩ বছরে রাজ্যের কৃষকদের জন্য অনেক প্রকল্প চালু করেছে বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। ফলে কৃষকদের আয় বেড়েছে তিন গুণ। আলুচাষের ক্ষেত্রে বিমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম রাজ্যের দেওয়ার সিদ্ধান্তে আরও উপকৃত হবেন কৃষকেরা। এ বিষয়ে তারকেশ্বরের আলুচাষিদের কথায়, শস্যবিমার প্রিমিয়াম আমাদের আর দিতে হবে না, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি হল। এই টাকা চাষের অন্যান্য কাজে লাগাতে পারব। ফলে কিছুটা বেশি লাভের মুখও দেখতে পাব বলে আশা। এসবই রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে হল। আবার প্রমাণিত হল, উনি বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্যই ভাবেন।