প্রতিবেদন : মধ্যপ্রদেশের পর এবার কর্নাটক। বিজেপি সরকারের পর কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করল বাংলার প্রকল্প। এ-রাজ্যের বিজেপি আর কংগ্রেস যে শুধুমাত্র সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলির বিরোধিতা করে তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। যেকোনও ভোট এলেই বাংলার প্রকল্প অনুসরণ করাই এখন কার্যত রেওয়াজ হয়ে উঠেছে অন্য রাজ্য সরকারগুলির কাছে। বাস্তবিকই বাংলা আজ যা ভাবে তা আগামী দিনে অনুসরণ করে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন-ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র, সচেতনতার বার্তা অভিষেকের, আশঙ্কাই সত্যি, বাতিল আরও আধার
এর আগে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জিততে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের নির্লজ্জ অনুকরণ করেছিল সে-রাজ্যের বিজেপি সরকার। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেন ‘লাডলি বহেন’ যোজনা। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করে মহিলাদের উন্নয়নের যে পথ দেখিয়েছে, ভোট বৈতরণী পার হতে চোখ বুজে অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। এবার সেই একই পথে হাঁটল কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক। এক্ষেত্রেও মডেল সেই বাংলাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অনুকরণে সে রাজ্যে চালু হল গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প। শুক্রবার রাজ্যের বাজেট পেশ করে এই প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে ২৮ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি স্বীকার করেন, বাড়ির গৃহকর্ত্রীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার প্রকল্প দারুণভাবে সফল। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে এই প্রকল্প চালু করেছে কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এ-রাজ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা যে প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন, নিজেদের রাজ্যে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রকল্পকেই আঁকড়ে ধরছেন। বাংলা যে জনকল্যাণে সঠিক দিশা দেখাচ্ছে, বিজেপি ও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অনুকরণেই তা স্পষ্ট।