প্রতিবেদন : সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধীদের নাচানাচি দেখছি। বিজেপি রাজনীতিটাকে কতটা নিম্নগামী করেছে। দিল্লির বুকে আমাদের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রমণ করল। টেনে-হিঁচড়ে, ঘাড়ধাক্কা দিয়ে কৃষিভবন থেকে বের করা হল। মহিলারাও বাদ গেলেন না। সে দৃশ্য একবারও চোখে পড়ল না। অথচ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পা পিছলে গাড়ির উপর পড়ে গেলে কার্যত ভেঙে যাওয়া সংসদ স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পাঠাচ্ছে। এটা সরকার! প্রতিহিংসা এদের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। এদের এই জমিদারিই শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বাংলাকে এদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। শুক্রবার দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং ব্লক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। বলেন, একবারও কেউ চোপড়ার কথা বলছে না! বিএসএফের অনুমতিহীন কাজের জন্য ৪টি শিশু বলি হল। একবারও কেউ তাদের কথা কিংবা তাদের পরিবারের কথা বলেছে? রাজ্যপাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলার পরের দিনই সন্দেশখালি যেতে পারেন আর চোপড়ার কথা ভুলে যান? এদের এতটাই প্রতিশোধস্পৃহা যে মুখ্যমন্ত্রী ধরনা মঞ্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্যের দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইডির তল্লাশি শুরু হল। এই রাজনৈতিক জমিদারির জবাব দিতে হবে মানুষকে। আগামী নির্বাচন প্রতিরোধের, প্রতিশোধের।