প্রতিবেদন : বিজেপি বাংলার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করে। সারদাদেবীর একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টা পরেও অপমানজনক ব্যঙ্গচিত্রটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে রয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান এবং ধর্ষণের সমর্থক অমিত মালব্যর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি অসম্মানের রাজনীতিকে সমর্থন এবং মা সারদার জঘন্য ছবি ব্যবহারের কড়া সমালোচনা করেছে তারা।
আরও পড়ুন-ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ পঞ্চম দিনে
বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়ে, রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডাঃ শশী পাঁজা জোর দিয়ে বলেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য এইগুলিই প্রধান কারণ। আবারও বাংলার বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছে। অতীতে, আমরা তাদের আমাদের মনীষীদের আক্রমণ করতে দেখেছি। তারা বারবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পরম্পরাকে অপমান করেছে। তারা বাংলার ইতিহাস জানে না এবং এখন রাজ্য জুড়ে সম্মানিত মা সারদাকে নিয়ে এই অপমানজনক পোস্টের মাধ্যমে তারা আরও নীচু স্তরে নেমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-গাড়ি মালিকদের উপর চাপ না বাড়িয়ে সাফল্য পরিবহণে, রাজস্বের অঙ্ক বেড়ে ৪ হাজার কোটি
তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আপত্তিকর পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী এবং নেতা পার্থ ভৌমিক বলেছেন, আমি বিজেপি নেতাদের কাজের নিন্দা জানাই। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টের জন্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের ঘটা করে ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও, এটি এখনও মুছে ফেলা হয়নি। এটি প্রমাণ করে যে বিজেপি নেতাদের হৃদয়ে আমাদের আইকন, যেমন শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মা সারদাদেবীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ রয়েছে, যা বাঙালিরা কখনওই ক্ষমা করবে না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে সমাজে ধর্মীয় মেরুকরণে বিজেপি কতটা নিচে নামতে পারে। তারা যেভাবে মা সারদাদেবীর এরকম লজ্জাজনক ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করেছে, তাতে আমরা হতবাক। কতদিন তারা এমন লজ্জাজনক কাজ করে যাবে! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও সমালোচনা করে বলেছেন, মা সারদা আমাদের ঐতিহ্য। তাঁর এই অপমান মানা যায় না।