প্রতিবেদন : শনিবার দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় কেজরি বলেন, এবছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেও আপ ২০২৯ সালের নির্বাচনে গেরুয়া দলের কবল থেকে দেশকে ‘মুক্ত’ করবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো বলেন, বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আস্থার প্রস্তাব আনতে হয়েছে। কারণ বিজেপি আপ বিধায়কদের কিনে নিয়ে দিল্লিতে তাঁর সরকার ফেলতে চায়। বিধানসভায় ধ্বনিভোটের মাধ্যমে আস্থার প্রস্তাব পাশ হয়েছে এদিন। ভোটাভুটির সময় আপ-এর ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৪ জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-পাক মসনদে কে? জেলবন্দি ইমরানের চালে অন্য সম্ভাবনা
আস্থা ভোটের বিতর্কে অংশ নিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, কোনও আপ বিধায়ক দলত্যাগ করেননি। দুই বিধায়ক জেলবন্দি, কেউ কেউ অসুস্থ এবং কেউ কেউ দিল্লির বাইরে আছেন। কেজরির কথায়, দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক জানিয়েছেন কীভাবে বিজেপির লোকেরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং আপ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে শামিল হওয়ার জন্য বিপুল অর্থের প্রস্তাব দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে তারা আমাদের সাতজন বিধায়ককে দলে টানার চেষ্টা করেছে। এই বিধায়করা জানিয়েছেন, বিজেপি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যেমন রাজেশ গুপ্তা বলেছেন, বিজেপি আমাদের কাছে প্রমাণ দেখাতে বলেছে। আমরা কীভাবে প্রমাণ দেখাতে পারি? একজন ব্যক্তি সর্বদা একটি টেপ রেকর্ডার বহন করে না। তারা মনে করে যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলে পার্টি (আপ) ভেঙে পড়বে। তারা কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতে পারে কিন্তু কেজরিওয়ালের চিন্তাভাবনাকে তারা কীভাবে আটকে রাখবে?