সংবাদদাতা, বর্ধমান : ‘অনেক আশা নিয়ে মতুয়ারা শান্তনু ঠাকুরকে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। কিন্তু মতুয়াদের জন্য কিছু করেননি। মতুয়াদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। ধোঁকা দিয়েছেন।’ রবিবার বর্ধমানে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সাংবাদিক বৈঠকে এই ভাষায় ক্ষোভ জানান কর্মকর্তারা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান-সহ নদিয়া এবং আরও কয়েকটি জেলায় পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষদের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার চিঠি উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতেই মতুয়া সংগঠন সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে। সংগঠনের জেলা সভাপতি সুপ্রভাত গাইন বলেন, তাঁরা লক্ষ্য করেছেন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ব্যক্তির আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তাঁদের প্রায় সকলেই মতুয়াভক্ত।
আরও পড়ুন-গরমের আগেই পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহে উদ্যোগ পুরসভার, বাজেটে বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকা
মাঝে মাঝেই কেন্দ্রের মন্ত্রীরা আসছেন আর এনআরসি করার হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি রীতিমতো শঙ্কিত করেছে। আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন মতুয়ারা। বন্ধ হয়ে গেছে রেশন। যেহেতু সব কিছুই এখন আধারকেন্দ্রিক, তাই সব ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছু তো করেনইনি, উল্টে এনআরসির পক্ষেই সওয়াল করছেন। তিনি ভাঁওতাবাজি করছেন মতুয়াদের সঙ্গে।’ মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর ইতিমধ্যেই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি নিয়ে লড়াই শুরু করেছেন বলে জানিয়ে সুপ্রভাতবাবু বলেন, তাঁরা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে আছেন। প্রসঙ্গত, জেলার জামালপুর ব্লকের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে দাবি করেন সুপ্রভাতবাবু। তিনি জানান, আধার নিষ্ক্রিয় করার পিছনে চিঠিতে যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তাও রহস্যজনক। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ হিসাবে ভারতবর্ষে থাকতে না পারার কথা বলা হয়েছে। তাতেই তাঁরা শঙ্কিত। তাঁদের আশঙ্কা, আধার নিষ্ক্রিয়করণের সংখ্যা লোকসভা ভোটের আগে আরও বাড়বে। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক বাসুদেব যশ, রীতা বিশ্বাস, কার্যকারী সভাপতি গৌতম বিশ্বাস, জয় গোঁসাই প্রমুখ।