প্রতিবেদন : ফের কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাঞ্জাব- হরিয়ানা সীমান্ত। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল হরিয়ানা-পাঞ্জাবের শম্ভু সীমানা। রাজধানীতে কৃষকদের ঢোকা আটকাতে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। পুলিশি বাধায় দিল্লি ঢুকতে পারেননি কৃষকরা। গোটা দিল্লিতেই নজিরবিহীনভাবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন-বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ থেকে চা-বলয়ে আন্দোলন
সমস্যা মেটাতে রবিবার ফের কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সমাধান অধরা। আর এই পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ‘উস্কানি’ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
কী করেছেন পান্নুন? পাঞ্জাব-হরিয়ানা পুলিশের উপর হামলা করার জন্য অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে তাঁর উস্কানিমূলক কথাবার্তায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ভিডিও বার্তায় পান্নুন আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশে বলেছেন, কর্তারপুর সীমান্তে অস্ত্র রাখা আছে। সেই অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করুন। আপনাদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করুন। যদিও পান্নুনের প্ররোচনায় পা না দিয়ে কৃষকদের স্বার্থে অনড় মনোভাব নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চায় কৃষক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন-বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ থেকে চা-বলয়ে আন্দোলন
গত মঙ্গলবার ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরাই এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে দুশোটি কৃষক সংগঠন। কৃষকদের দাবি, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। কৃষকদের এই আন্দোলন রবিবার ষষ্ঠ দিনে পড়ল। রবিবারের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে ছিলেন তিন মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অর্জুন মুন্ডা এবং নিত্যানন্দ রাই।