প্রতিবেদন : একদিকে বিভিন্ন মাওবাদী এলাকায় প্রশাসনিক ক্ষমতা কায়েম করার দাবি করছে ছত্তিশগড়ের ডবল ইঞ্জিন সরকার। অন্যদিকে একের পর এক মাওবাদী হানায় প্রাণ যাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জওয়ানদের। মাওবাদীদের মোকাবিলায় উন্নয়নের বিকল্প পথ না দেখে দমনপীড়নের নীতি তীব্র করতে গিয়েই সমস্যা জটিল হচ্ছে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বারবার হামলার ঘটনাতেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। কিছুদিন আগে ছত্তিশগড়ের সুকমা এলাকায় ক্যাম্প শুরু করে ভারতীয় সেনা ও ছত্তিশগড় পুলিশের যৌথবাহিনী। সেখানে জাতীয় পতাকাও তোলা হয়। আত্মসমর্পণ করে বেশ কয়েকজন মাওবাদীও। এলাকায় স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করে টহলদারিও চালাচ্ছে সেনা জওয়ানেরা। তবে তাতে আখেরে যে এলাকার কোনও উপকারই হয়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল রবিবারই।
আরও পড়ুন-আন্দোলনকারী কৃষকদের উস্কানি দিচ্ছেন পান্নুন!
বিজাপুরের কুত্রু থানা এলাকায় রবিবার বাজার করতে বেরিয়েছিল ছত্তিশগড় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। সেই সময়ই তাদের উপর আক্রমণ চালায় মাওবাদীরা। মূলত এই বাজার এলাকার নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল সিএএফ-এর চতুর্থ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। রবিবার সকালে মাওবাদীরা সেখানে তিজাউরাম ভাউরিয়াকে নিশানা করে হামলা চালায়। কুড়ুল দিয়ে নির্মমভাবে তাঁকে কোপানো হয়। মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের। হামলাকারীদের কাউকে ধরতে পারার আগেই এলাকা ছেড়ে পালায় মাওবাদীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের বিশেষ বাহিনী এলাকায় অভিযুক্ত মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।