সংবাদদাতা, কোচবিহার : তৃণমূলের উন্নয়নের কাছে হার মেনে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্র সাধারণ মানুষের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে না, অথচ তৃণমূল মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে সাহায্যের হাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে সহায়তা শিবির। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ওই শিবিরগুলিতে এবার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। একই দিনে উত্তর-দক্ষিণের তিন শিবিরে ভাঙচুর চালিয়ে ন্যক্কারজনক রাজনীতি করল বিজেপি।
আরও পড়ুন-মেমারিতে আধার সমস্যায় পড়া মানুষের পাশে তৃণমূল
সোমবার উত্তরের কোচবিহার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও নন্দীগ্রামে শিবিরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মদতে এই ভাঙচুর হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠছে। এদিন শিবিরে মাইকিং করতে থাকা কর্মীকেও মারধর করা হয়৷ আহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম নরেশ বর্মন। ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ মানুষ যাতে প্রাপ্য টাকা পান সেজন্য এই সহায়তা কেন্দ্রে আসতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকে প্রচার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ অভিযোগ ভেটাগুড়ি বাজারে সেই প্রচারের গাড়ি থামিয়ে দুটি মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় দুটি ভাঙা মাইক রেখে অবস্থানে বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা৷ তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিজেও দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন-হোঁচট খেল রিয়াল, ফের হার বায়ার্নের
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। জেলা সভাপতি বলেন, ভোট এলেই বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে নিশীথ প্রামাণিক। ভেটাগুড়ির মানুষ বিজেপির সন্ত্রাসে বিরক্ত। সাধারণ মানুষ যাতে একশো দিনের প্রাপ্য না পান তাই বিজেপি কর্মীদের দিয়ে নিশীথ প্রামাণিক এভাবে সন্ত্রাস করিয়েছে৷ খবর পেয়ে ভেটাগুড়ি বাজারে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। মন্ত্রী বলেন, বিজেপির এসব সন্ত্রাস সাধারণ মানুষ একেবারেই বরদাস্ত করবে না। বিজেপি সাবধান না হলে এর ফল তাদের ভুগতে হবে৷ মন্ত্রী উদয়ন গুহ, বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া, জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সকলেই এদিন দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান বিজেপির বিরুদ্ধে। দিনহাটা হাসপাতালে আহতকে দেখতে যান সিতাই-এর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া। উল্লেখ্য, তুফানগঞ্জের অন্দরানফুলবাড়িতে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তা কেন্দ্রতে গিয়ে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার অব্যাহত রইল বিজেপির সন্ত্রাস।