প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় অনুদানের উপর ভরসা করে না কলকাতা পুরসভা। তাই শহরবাসীর জনকল্যাণে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে পুরসভা। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পুর-বাজেট সেই আত্মনির্ভরতারই জলন্ত নিদর্শন। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে এই মর্মেই গৃহীত হল আসন্ন অর্থবর্ষের এই জনমোহিনী বাজেট।
আরও পড়ুন-ফের সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির সন্ত্রাস
এদিনের পুর অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, স্বপন সমাদ্দার, সন্দীপ বক্সী, সন্দীপন সাহা, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, আমিরুদ্দিন ববি, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ শহরের প্রায় সমস্ত পুর-প্রতিনিধিরা। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে পুর-বাজেটের ঘাটতির তুলনা করে বিজেপি সরকারের অন্তঃসারশূন্য দিশাহীন বাজেটের তুলোধোনা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, পুরসভার উপরও ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপিয়েছে কেন্দ্র। এটা না থাকলে আমাদের হাতে অতিরিক্ত ২৫০ কোটি টাকা থাকত, বাজেটে কোনও ঘাটতি থাকত না। আমি আর্থিক ঘাটতির পরোয়া করি না, কিন্তু মানুষের পরিষেবায় যেন কোনও ঘাটতি না হয়। সেই পরিষেবায় যাতে ঘাটতি না হয়, সেজন্য এদিনের বাজেটে কাউন্সিলর ও বরো তহবিলে বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি করেন মহানাগরিক। এতদিন দুই তহবিলে বরাদ্দ ছিল ৩০ লক্ষ টাকা। এদিন সেই অর্থ বেড়ে হল ৫০ লক্ষ।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে থাপ্পড় খেল বিজেপি, চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে জয়ী আপ প্রার্থীই
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, কেন্দ্রে বাজেটে যেখানে ৫.৪ শতাংশ ঘাটতি, সেখানে কলকাতা পুরসভার বাজেটে ঘাটতি মাত্র ২.২ শতাংশ। মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে শহরের প্রত্যেকটি মানুষ সুখে শান্তিতে আছে। কাউন্সিলর অরুপ চক্রবর্তী বলেন, কলকাতাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য তথা দেশকে পথ দেখায়। কলকাতা পুরসভা দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।